বৃহস্পতিবার (৭ জুন) আদালতে ওই চিঠি উপস্থাপনকালে পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, মোদীর প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত চিঠিটি নয়াদিল্লি-ভিত্তিক মাওবাদীকর্মী রোনা উইলসনের বাড়িতে পাওয়া গেছে। রোনা উগ্রপন্থি ‘কমিটি ফর রিলিজ পলিটিক্যাল প্রিজনার্স’ এরও সদস্য।
এর আগে বুধবার (৬ জুন) নিষিদ্ধঘোষিত মাওবাদী-সিপিআই’র সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে রোনাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যরা হলেন- দলিত গোষ্ঠীর মাওবাদীকর্মী সুধীর ধাওয়ালে, আইনজীবী সুরেন্দ্র গাদলিং, মাহেশ রাউত, সোমা সেন। এরা গত জানুয়ারিতে ভিমা-কোরেগাঁ জাতিগত সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গ্রেফতারের পরই রোনার বাড়িতে চিঠিটি পাওয়া যায়।
সরকারি কৌঁসুলি উজ্জ্বলা পাওয়ারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিঠিতে ‘আরও একটি রাজীব গান্ধী-ঘটনার’ কথা উল্লেখ আছে। যেখানে এম-৪ রাইফেল ও ৪ লাখ রাউন্ড গুলির জন্য ৮ কোটি রুপির প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুতে এক আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। বোমা হামলাটি চালায় তেনমোঝি রাজারত্নম নামে শ্রীলঙ্কার এলটিটিই গেরিলাদের এক নারী সদস্য। শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকার জন্য এই গুপ্তহত্যা চালায় এলটিটিই।
মোদীর প্রাণনাশের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে ওই কৌঁসুলি জানান, চিঠিতে উল্লেখ আছে যে- ‘আমরা আরেকটি রাজীব গান্ধী ধরনের ঘটনার চিন্তা করছি। এটা আত্মঘাতী মনে হলেও এবং আমাদের ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কা থাকলেও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উচিত এই প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া’।
মোদীর দল বিজেপির নেতা নালিন কোহলি বলেন, এটা মারাত্মক বিষয়। ষড়যন্ত্রীরা চাপে থাকলেও এটা অশুভ এবং ভয়ানক ব্যাপার। কিন্তু কিছু নথি মূলধারার দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতও করছে।
একটি সংবাদমাধ্যম ওই চিঠির একটি প্রতিলিপিও প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা আছে, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে বড় পরাজয়ের পরও মোদী ১৫টির বেশি রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে তারা (মাওবাদী) বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হবে।
অভিযুক্তদের আইনজীবীরা আদালতে বলেছেন, বিবাদীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বানোয়াট এবং তাদের ফাঁসানোর চক্রান্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/