ট্রাম্প ও কিমের পূর্ব নির্ধারিত এই বৈঠকটি সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের কাপেলো হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বিষয় সমাধানের চেষ্টা করেন এই দুই নেতা।
কিম ও ট্রাস্প কি এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের কূটনীতিতে বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করবেন, এমন প্রশ্ন তুলছেন বিশ্ব কূটনীতি বিশ্লেষকরা। এর আগে ১৯৭২ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের চীন সফরের মাধ্যমে উত্তর পূর্ব এশিয়ায় বড় ধরনের কূটনৈতিক সাফল্য আসে।
বৈঠকের শুরুতে ট্রাম্পের পাশে বসে অভিনন্দন জানান কিম। এসময় তিনি বলেন, জনাব প্রেসিডেন্ট আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমি আনন্দিত। কিমের অভিনন্দনের জবাবে ট্রাম্প কিমকে পছন্দ সূচক ইশারা (থাম্বস আপ) দিয়েছেন। ট্রাম্প জানান, তিনি নিশ্চিত তাদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে।
ট্রাম্প বলেছেন, আমি খুব পুলকিত বোধ করছি। একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা হতে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি এটি সত্যিকার অর্থেই সফল হবে। আমি নিশ্চিত আমাদের মধ্যে ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি হবে।
বৈঠক শুরুর আগে প্রায় আধঘণ্টা জুড়ে বৈঠকের প্রারম্ভিক বিষয়গুলো সম্পন্ন করেছেন ট্রাম্প ও উন। এরপর তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাসভার জন্য কাপেলা হোটেলের বৈঠক কক্ষে প্রবেশ করেন।
কিম বলেন, এখানে বৈঠকের জন্য আসা খুব সহজ ছিল না। পূর্ব আমাদের অনেক বাধা ছিল। কিন্তু আমরা এগুলো কাটিয়ে উঠেছি এবং আমরা আজ এখানে।
এদিকে বৈঠক শুরুর আগে সকালে ইউএস সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও বলেছেন, দুই দেশের কূটনৈতিক সাফল্যের জন্য আমরা প্রস্তুত।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মকণ্ড নিয়ে তিনি আরও বলেন, এর আগে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক শক্তি নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হয়েছে। আমরা দেখতে চাই এই কথাগুলো আন্তরিকভাবে প্রমাণিত হয় কি না।
এদিকে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে সিঙ্গাপুর ছাড়বেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এছাড়া উত্তর কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, বৈঠক শেষে আজ বিকেলেই উত্তর কোরিয়া রওয়ানা হবেন কিম জং উন।
**বৈঠকে বসেছেন ট্রাম্প-কিম
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি