জানা গেছে, ওয়া তিবা বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) বাড়ির বাগানে কাজ করছিলেন। এ সময় তিনি হঠাৎ উধাও হন! এরপর থেকে ওয়া তিবার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরে শুক্রবার (১৫ জুন) ওয়া তিবার সন্তানরা বাগানে তার স্যান্ডেল, টর্চ ও ছুরি দেখতে পায়। সেখান থেকে ৩০ মিটার দূরত্বে একটি ফুলে, ফেঁপে যাওয়া বিশাল আকৃতির পাইথনও দেখতে পায় তারা। বাগানের ভেতর পাইথনটি কুকড়ে শুয়ে ছিলো। বিষয়টি নিয়ে তাদের সন্দেহ হয়। তারা স্থানীয়দের খবর দেয়।
নিখোঁজ নারীর সন্তানরা জানায়, বিশালাকৃতির পাইথনটি মাটিতে শুয়ে ছিলো আর নড়তে পারছিল না।
এক প্রতিবেশী বলেন, ওয়া তিবার সন্তানরা তাদের মায়ের জন্য ও ভয়ে খুব কান্নাকাটি করছিলো। ওদের কান্নাকাটি দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। ঘটনাটি অনেকটা ভীতিকর চলচ্চিত্রের মতো। সবাই তখন খুবই আতঙ্কিত হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাইরে বেরুতেও ভয় পাচ্ছিলাম। আমরা সবাই নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছিলাম। স্থানীয়রা ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। শুক্রবার (১৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে গ্রামের কয়েকশ মানুষও জড়ো হয়। তারা পাইথনের পেট কেটে ওয়া তিবার নিথর বের করা হয়। ওয়া তিবার মাথা ছিলো পাইথনের পায়ের দিকে ও পা ছিলো মুখের দিকে। সবশেষে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাকে সমাহিত করা হবে।
আগুং রামোস নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ওয়া তিবা নামে ওই নারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন। পরে পাইথনের পেট থেকে শুক্রবার তাকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
এএইচ/এএটি