সোমবার (১৮ জুন) প্রেসিডেন্ট ভবন হোয়াইট হাউসে এ ব্যাপারে জানান ট্রাম্প।
তিনি বলেন, সেইসঙ্গে শরণার্থীদেরও কোনো সুবিধা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কারণে ১৭ মাসে প্রায় এক হাজার ৮০০ পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জিফ সিশনস যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেন। এ ঘোষণায় জানানো হয়, দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে।
এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ট্রাম্প প্রশাসনের এ নীতির নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এ নীতিকে ‘বিবেকহীন’ বলেও আখ্যায়িত করেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, আপনারা ইউরোপের দিকে তাকান কি হচ্ছে। অন্যান্য জায়গায় কি হচ্ছে, সেদিকেও নজর দিন।
এর আগে ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোতে বিপুল পরিমাণে অভিবাসী প্রবেশের বিষয়ে বলেছিলেন, ইউরোপের দেশগুলো অনেক বড় ভুল করছে।
সম্প্রতি জার্মান অভিবাসন নীতির কারণে চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সমালোচনাও করেছেন ট্রাম্প। তার মতে, অভিবাসন নীতির কারণে জার্মানের জনগণ তাদের নেতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসনের এ অভিবাসন নীতির কারণে প্রায় দুই হাজার শিশু তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
এদিকে, রোববার (১৭ জুন) দেশটির ডেমোক্রেটিক দল ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করে বিবৃতি দেয়। এছাড়াও ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির অনেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের এ নীতির সমালোচনা করেছেন। সাবেক ফার্স্ট লেডি লরা বুশও এ নীতির সমালোচনা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
এএইচ/টিএ