আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তদন্তকারীরা ইতোমধ্যে উপযুক্ত বিষয়াদি পেয়েছেন। তিনি আরও জানান, নাজিব রাজাক মালয়েশিয়া ডেভেলপিং বারহাদ (ওয়ানএমডিবি) তহবিল গঠন করেছিলেন এবং অর্থ আত্মসাতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছেন।
মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, ওয়ানএমডিবি’র অর্থ আত্মসাতে নাজিব রাজাক পুরোপুরি জড়িত। কোনকিছুই নাজিবের সই ছাড়া হয়নি। সরকারের হাতে নাজিবের সব সইয়ের প্রমাণ আছে। এ সইগুলো দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এসব কিছুর জন্য নাজিব দায়ী।
২০০৩ সালে অবসরে গিয়ে ২২ বছর পর আবার ক্ষমতায় আসেন মাহাথির। গত মাসে তিনি নাজিবের বিপক্ষে নির্বাচন করেছিলেন। মাহাথির মোহাম্মদ নির্বাচনে জয়লাভের পর নাজিবের বিরুদ্ধে ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে কাজ শুরু করেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ অভিযোগ করে, ওয়ানএমডিবি অর্থ তহবিল থেকে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ হয়েছে। এরমধ্যে ৭শ’ মিলিয়ন ডলার নাজিবের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের অভিযোগ ওঠে।
মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতায় আসার পর নাজিবের দেশত্যাগ নিষিদ্ধ করেন। এছাড়া পুলিশ নাজিব ও তার স্ত্রী রোশমা মানসুরকে জিজ্ঞাসাবাদও করে।
এদিকে নাজিব রাজাক ধারাবাহিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো অস্বীকার করে আসছেন। গত সপ্তাহেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাজিব।
মাহাথির বলেন, নাজিবের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত চলছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নাজিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, সরকারি অর্থ চুরি, ঘুষ হিসেবে সরকারি অর্থের ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নাজিবের স্ত্রী রামোসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। কিন্তু এর প্রমাণ সংগ্রহ করা কঠিন। কেননা রামোস কোনো নথিতে সই করেননি। বরং নাজিব অনেক নথিতে সই করেছেন।
কয়েকমাসের মধ্যেই ওয়ানএমডিবি অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মাহাথির মোহাম্মদ। এছাড়া চলতি বছরের শেষ থেকে আদালতে বিচার কার্যক্রমও শুরু হবে।
তিনি বলেন, আমরা উপযুক্ত প্রমাণাদি নিয়ে আদালতে হাজির হবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৮
এএইচ/আরআর