দীর্ঘদিনের এ নিষেধাজ্ঞা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। এর আগে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ নারীদের গাড়ি চালানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
সৌদির বিভিন্নস্তরের মানুষ মনে করছেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে সামাজিক গতিশীলতার নতুন যুগ উন্মোচন হবে।
হানা আল খামরি নামে এক নারীবাদী লেখক সংবাদমাধ্যমে বলেন, নারীদের মুক্ত বিচরণের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের নারীরা পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোতে বাস করে। তাদের গাড়ি চালানোর অনুমতি অনেক দিক দিয়েই সাহায্য করবে। এটা তাদের মুক্ত বিচরণ ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় সাহায্য করবে।
দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, অনেক নারী এখন নির্ভরতা থেকে মুক্ত হবে। অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি চালক অথবা পুরুষ আত্মীয়ের ওপর নির্ভর করতেন। তাদের আর নির্ভরশীল থাকতে হবে না। আবার পারিবারিক ব্যয়ও কমে যাবে।
সৌদির নীতি-নির্ধারক সংস্থা আরব ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন বিশ্লেষক নাজাহ আল-ওতাইবি বলেন, এটা মুক্তি। সৌদি নারীরা এতদিন মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এ সিদ্ধান্ত তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যেতে ভূমিকা রাখবে।
চলতি মাসে নারীদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু শুরু করে সৌদি আরব। রিয়াদ ও জেদ্দায় চালু হয়েছে নারীদের ড্রাইভিং শিক্ষার অনেক প্রতিষ্ঠান।
কন্সালট্যান্সি প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটার হাউস কোপার্স বলছে, ২০২০ সালের মধ্যে ৩০ লাখ নারী ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন এবং গাড়িও চালাতে পারবেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে এবং এতে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় অর্থনীতিতে ৯০ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি