শনিবার (২৩ জুন) দেশটির রাজধানী আদ্দিস আবাবায় এ ঘটনা ঘটে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, শনিবার সকালের এ হামলার কিছু সময় পর টেলিভিশন সম্প্রচারিত বার্তায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বলেন, কিছু মানুষ নিহত হয়েছেন।
এ হামলাকে ‘পরিকল্পিত আক্রমণ’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এসময় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
আবি আহমেদের সমর্থকদের মিছিল আয়োজকদের অন্যতম সিউম তিশম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ও অন্যান্য অতিথিরা সুস্থ আছেন।
খবরে বলা হয়েছে, আদ্দিস আবাবার মেসকেল স্কয়ারে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর বোমা হামলাটি হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেইলিমরিয়াম ডিসালিন। আবি আহমেদ ডিসালিনের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
আবি আহমেদ দেশটির ‘ওরোমো জাতিগোষ্ঠি’র প্রথম নেতা; যিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ওরোমো জাতিগোষ্ঠী ও অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষরাও আবি আহমেদকে সমর্থন দিয়েছে।
আবি আহমেদের নেতুত্বে ‘ওরোমো পিপল’স ডেমোক্রেটিক অরগানাইজেশন (ওপিডিও) গত কয়েক বছর ধরে সরকার বিরোধী আন্দোলন করে আসছে।
নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের পর ইথিওপিয়ার তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিচার বর্হিভূত হত্যার অভিযোগ ওঠে।
আবি আহমেদ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রের ক্ষমতা চর্চার ক্ষেত্রগুলোতে সংস্কার আনেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সংস্কারের কারণে দেশটিতে সত্যিকার গণতন্ত্রের সূর্য উদিত হয়েছে।
গত ২২ জুন অর্থাৎ শুক্রবার দেশটির বিদ্রোহী গ্রুপ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে। এর আগে আবি ঘোষণা দেন, দশ হাজারের বেশি কারা বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার।
একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি শানি্তপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বিদ্রোহীদের উন্নয়নে অংশীদার হতে আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৮/আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা
এএইচ/এমএ