বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নির্বাচন এরদোয়ানের জন্য পরীক্ষাই বটে। কারণ জয়ী হতে হলে তাকে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
রোববার (২৪ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল ও পার্লামেন্টারি উভয় পর্যায়ের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রায় ৬০ মিলিয়ন তুর্কি জনগণ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
২০১৯ সালের নভেম্বরে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা এগিয়ে নিয়ে এসেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছেন, এ নির্বাচনে এরদোয়ান জয়লাভ করলে দেশটির গণতন্ত্র আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। আর ক্ষমতাতে আরও কুক্ষিগত করবেন তিনি। ফলে হুমকির মুখে পড়বে দেশটির গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের রাজনৈতিক দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। আর তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রার্থী মুহাররেম ইনচ।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার (২৩ জুন) নির্বাচনের শেষদিনের কর্মসূচিতে এরদোয়ান ও ইনচ বিশাল মিছিলের মাধ্যমে প্রচারণা করেছেন। এসময় ভোটারদের কাছে নিজেদের পক্ষে ভোট চান তারা।
মুহাররেম ইনচ এ নির্বাচনে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রচারণায় তিনি বলেছেন, এরদোয়ান জিতলে, আপনাদের ফোনে আড়িপাতা হবে। দেশে আরও ভয়ের বিস্তার হবে। একই সঙ্গে ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন ইনচ।
তবে ইস্তাম্বুলে জনসভায় লাখো সমর্থকের উদ্দেশ্যে এরদোয়ান প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ক্ষমতায় এলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া এরদোয়ান নির্বাচনী প্রচারণায় ইনচকে কটাক্ষ করতেও ছাড়ছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৮
এএইচ/এমএ