সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের তরফ থেকে কড়া বার্তায় বলা হয়, ইরানের কাছ থেকে আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে তেল আমদানি বন্ধ না করলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ না করলে কেউই রেহাই পাবে না, সে হোক চীন বা ভারত, সবার ওপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
বিশ্বে তেল সরবরাহের হিসাবে ইরাক ও সৌদি আরবের পরই ইরান। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশটি ১৮.৪ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করে বিশ্ববাজারে।
ইরানের সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত মে মাসে সরে যাওয়া ট্রাম্পের প্রশাসন মনে করে, বিশ্ববাজারে এভাবে তেল সরবরাহের মাধ্যমে ইরানের অর্থনীতি গতিশীলতা লাভ করছে। অথচ পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর থেকেই ওয়াশিংটন চাইছে তেহরানকে অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা করে ফেলতে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরানের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ না করলে অন্যদের মতো ভারত ও চীনের কোম্পানিগুলোকেও আমাদের নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত করা হবে। আমরা চাই ইরানের তেল আমদানি শূন্যে নেমে আসুক।
এই হুমকির বিষয়ে অবশ্য ভারত বা চীনের কোনো মন্তব্য মেলেনি। তবে সম্প্রতি চীনা পণ্য আমেরিকান বাজারে ঢোকার ওপর শুল্কারোপে বেইজিংও পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/