মঙ্গলবার (৩ জুলাই) ইরানের প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে হাসান রুহানি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে ইরানের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ইরানের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিলে তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমেরিকানরা চায় ইরানের তেল রফতানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হোক। তাদের এই বক্তব্যের অর্থ তারা নিজেরাই ঠিক মতো বুঝেছেন কিনা সন্দেহ। যখন এই অঞ্চলের বাকিদের তেল রফতানি হচ্ছে, তখন ইরানিদের তেল রফতানি না করার কোনো কারণই নেই।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা ইরান থেকে তেল আমদানি না করার কথা জানান। ট্রাম্প প্রশাসনের এক বিবৃতিতে নভেম্বরের মধ্যে ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ না করলে নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দেওয়া হয়।
ইরানের প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইটের বিবৃতিতে রুহানি বলেছেন, আপনারা যদি এটা করেন তবে এর ফলাফলও আপনাদের দেখতে হবে।
বিশ্বে তেল রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ইরান তৃতীয়। তারা প্রতিদিন প্রায় দুই মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রফতানি করে।
এদিকে শনিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সৌদি নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, দেশটি প্রয়োজনে তেল উৎপাদন বাড়াতে পারবে। ধারণক্ষমতার বাইরে তারা প্রতিদিন ২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রফতানি করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি