বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ১১-১২ জুলাই ন্যাটো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ন্যাটো সম্মেলনে এমিনি এরদোয়ান তার স্বামী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানকে সঙ্গ দিয়েছেন।
অন্য দেশের ফার্স্ট লেডিদের সঙ্গে বৈঠকে এমিলি এরদোয়ান গত বছর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর নিয়ে কথা বলেন। তিনি রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তুরস্ক সব সময় রোহিঙ্গাদের পাশে আছে। তুরস্কের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা রোহিঙ্গাদের সহায়তা করে যাচ্ছে।
তিনি রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় জোর দাবি তুলে ধরেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের সহায়তায় অন্য রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বৈঠকে এমিলি এরদোয়ান পরিবেশগত বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও আলাপ করেন। তিনি তুরস্কের সফল জিরো ওয়েস্ট প্রজেক্ট ব্যাখ্যা করেন। বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং বর্জ্য হ্রাস প্রক্রিয়া সম্পর্কে একে অপরের সঙ্গে তারা ধারণা বিনিময় করেন।
গত ২৪ জুন নির্বাচনে পাঁচ বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই এরদোয়ানের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নতুন করে সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে। এরপর সেপ্টেম্বরে এমিনি এরদোয়ান কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
আরআর