এ বিষয়ে দেশটির নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডাম বলেন, সীলদের গুহা ও জলে ডুবে থাকার জন্য আরও উন্নত প্রশিক্ষণ দরকার।
শুক্রবার (১৩ জুলাই) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে উদ্ধার অভিযান সফল করার জন্য তার বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করেন কমান্ডার।
নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খাই তোচাইফুম বলেন, থাম লুয়াং গুহায় যখন ১২ খুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ আটকে গিয়েছিল তখন কি করে উদ্ধার করা যায়, তা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিল দেশের নৌবাহিনী। প্রথমে কিছুই জানা ছিল না আমাদের, এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে? এছাড়া কারও গুহায় বা জুলে ডুবে বেশি সময় থাকার অভিজ্ঞতা ছিল না। পরে সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের সহায়তা এবং ব্রিটিশ ডুবুরি দলের সাহায্যে আমরা সফল হয়েছি। এতে আমাদের অবদানও কম নয়। তবে উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের।
গত ২৩ জুন বার্ষিক ভ্রমণে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে হারিয়ে যায় ১১-১৬ বছর বয়সী ১২ ফুটবলার ও ২৫ বছর বয়সী তাদের কোচ। পরে ২ জুলাই উত্তরাঞ্চলের চিয়াং রাই প্রদেশের থাম লুয়াং গুহায় তাদের সন্ধান পায় ব্রিটিশ ও থাই ডুবুরি দল। এরপর রোববার (০৮ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার (১০ জুলাই) তিন দিনের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়। বিপজ্জনক ও অত্যন্ত কঠিন এ উদ্ধার অভিযান গোট বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে থাইল্যান্ড। প্রশংসাও পাচ্ছে দেশটির নৌবাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
টিএ