ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৫৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সম্পত্তি বিক্রি নিষিদ্ধ করেন। এরপর ২০১১ সালে আইন পরিবর্তনের পর সম্পত্তি বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে কমিউনিস্ট দেশটির অর্থনীতির চাবিকাঠি হিসেবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রীয় পরিকল্পনাকে পুনরায় নিশ্চিত করা হবে।
আগামী সপ্তাহে জাতীয় বিধানসভায় ভোটের মাধ্যমে নতুন সংবিধানটি অনুমোদন দেওয়া হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এরপর আগামী বছর খসড়া সংবিধানটি গণভোটের মাধ্যমে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।
নতুন সংবিধানটি অনুমোদন হলে তা ১৯৭৬ সালে কমিউনিস্ট পার্টির অনুমোদন দেওয়া বর্তমান সংবিধানে প্রতিস্থাপিত হবে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রস্তাবিত সংবিধান সংস্কারে কিউবার কমিউনিস্ট পার্টিই শাসক দল হিসেবে থাকবে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার মেয়াদ কমিয়ে আনা হবে। একজন প্রেসিডেন্ট ৫ বছর করে দু’বার কার্যনির্বাহী ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতার ভাগাভাগিও হবে।
এছাড়া জাতিগত, লিঙ্গ ও অক্ষমতার ক্ষেত্রে বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হবে। এলজিবিটি’রা আশা করছেন সংস্কারে সমকামী বিবাহও অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
২০১০ সালের পর থেকে কিউবা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য সংস্কারমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
২০০২ সালের সর্বশেষ সংবিধান সংস্কারে ফরমান জারি করা হয়, কিউবা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সমাজতান্ত্রিক চরিত্রে অনড় থাকবে।
গতমাসে দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল ঘোষণা করেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো এ সংস্কারের নেতৃত্ব দেবেন। চলতি বছরের এপ্রিলে রাউল কাস্ত্রোর কাছ থেকে ক্যানেল ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এএইচ/আরআর