দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
দেশটিতে জরুরি অবস্থার সময় হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়।
তুরস্কের নির্বাচনে রজব তৈয়্যব এরদোগান পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার এ ঘোষণা এলো।
নির্বাচনী প্রচারণায় এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী অবশ্য নির্বাচনে জয়লাভ করলে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
স্থানীয় একটি উন্নয়ন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, তুরস্কে জরুরি অবস্থার ফরমান জারির পর এক লাখেরও বেশি মানুষকে সরকারি চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়াও ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে বিভিন্ন সাজায় জেলে পাঠানো হয়।
সরকারি চাকরি থেকে প্রত্যাহার হওয়া অধিকাংশই ধর্মীয় নেতা ফিতুল্লাহ গুলেনের অনুসারী ছিলেন। গুলেন প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সাবেক সহযোগী ছিলেন।
এরদোগান সরকারের অভিযোগ, গুলেন ও তার অনুসারীরা ২০১৬ সালের অভ্যুত্থানের সংগঠক। তবে গুলেন এ অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন। ফিতুল্লাহ গুলেন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন।
২০১৬ সালের অভ্যুত্থানে দেশটির পার্লামেন্টে হামলা হয়। এতে প্রায় ২৫০ এর বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এএইচ/আরআর