রোববার (১৪ অক্টোবর) তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাবর্ষের সূচনা অনুষ্ঠানের বক্তব্যে একথা বলেন রুহানি। বক্তব্যটি দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়।
রুহানি বলেন, ইরানে ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থার পতন ঘটাতে মনস্তাত্ত্বিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, ইরানের ইসলামিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বৈধতাকে খাটো করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। তাদের কথাতেই যদি সরকার পরিবর্তন হয়, তবে কিভাবে পরিবর্তন হবে? খাটো করার মাধ্যমে কোনো সরকার পরিবর্তন হয় না।
চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন থেকে দেশ দু’টির সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। এরপর আগস্টে নতুন করে শুল্ক আরোপের ফলে দেশ দু’টির সম্পর্কের আরও অবনতি হয়।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, রাশিয়া এবং চীন পারমাণবিক চুক্তিতে সম্মত হয়। এ চুক্তির ফলে ইরানের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ইরানের সঙ্গে হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের বিদ্রোহী সংগঠন হুতি এবং সিরিয়া ইস্যুতে ইরানের অবস্থানের কারণে ট্রাম্প এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এএইচ/আরআর