সোমবার (১৫ অক্টোবর) দেশটির সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন আনোয়ার ইব্রাহিম। এর আগে শনিবার (১৩ অক্টোবর) দেশটির পোর্ট ডিকসন শহরে উপ-নির্বাচনে জয়লাভ করেন ৭১ বছর বয়সী এ নেতা।
নির্বাচনে আনোয়ারের জয়লাভের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়। কেননা মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গত মে মাসের নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিজয়ী হলে মাহাথির আনোয়ার ইব্রাহিমকে কারাগার থেকে মুক্ত করবেন, আর এর দুই বছর পর তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে নিজে অবসর নেবেন।
কিন্তু এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে বলেছি আমি সহায়তা দেবো। সংসদীয় কাঠামোর মধ্যে আমার অবদান রাখবো। সংসদ সদস্য হিসেবে আমার ভূমিকা অনুযায়ী মন্ত্রী ও এমপিদের সঙ্গে যোগাযোগও করবো।
সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে প্রতিশ্রুতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, না, আমি এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। বরং তার (মাহাথির মোহাম্মদ) থাকা দরকার। যাতে সময়ের সঙ্গে চাপে তার ওপর কোনো প্রভাব না পড়ে, এটা গুরুত্বপূর্ণ।
মাহাথির মোহাম্মদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, পাকতান হারপান ও আমার এতে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন রয়েছে।
৯০-এর দশকে মাহাথির মোহাম্মদের আমলে সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে আনোয়ার ইব্রাহিমকে কারাগারে পাঠানো হয়। তারপর থেকেই তিনি মালয়েশিয়ায় সংস্কারপন্থী রাজনীতি শুরু করেন। ইব্রাহিম ওই সময় মাহাথিরের প্রধান সহকারী ছিলেন।
তবে ১৯৯৭-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত চলা অর্থনৈতিক সংকটের সময় দুই নেতার সম্পর্কে ফাটল ধরে। ২০০৪ সালে কারামুক্ত হলেও ২০১৫ সালে সমকামিতার অভিযোগে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।
গত মে মাসের নির্বাচনে জয়লাভের পর মাহাথির মোহাম্মদ আনোয়ার ইব্রাহিমের ক্ষমা মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এএইচ/আরআর