স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের মে মাসে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে নিজেদের দূতাবাস সরিয়ে নেয়।
তবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব ইস্যুতে ‘দ্বি-রাষ্ট্র’ সমাধানের পক্ষেই নিজেদের অবস্থান জানিয়ে আসছে অস্ট্রেলিয়া।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী মরিসন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ইসরায়েল ইস্যুতে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে খোলসা করে বলছি, এটা ভালোর দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেম ও ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে পশ্চিম জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া।
তবে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তার মন্ত্রিসভা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনার কথা জানান তিনি।
এ বিষয়ে সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এক টুইটে লিখেছেন, আমি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ও দূতাবাস স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করছেন।
১৯৯৩ সালের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি অনুযায়ী, জেরুজালেম নগরীর বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হতে হবে। এই চুক্তি অনুযায়ী ‘ভাবী’ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখা হয় পূর্ব জেরুজালেমকে।
কিন্তু দশকের পর দশক ধরে অনুসৃত এ নীতি থেকে সরে এসে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুরো জেরুজালেমকেই ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে তেল আবিব থেকে সেখানে দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। খোদ পশ্চিমা মিত্ররাও ট্রাম্পের এই খেয়ালি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। পরে অবশ্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
এএইচ