ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তুষারপাতে বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি সড়ক। যার কারণে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, গত দু’দিন ধরে কাশ্মীরের অধিকাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎসংযোগ নেই। এছাড়া রাজ্যের অসংখ্য হাসপাতালেও নেই বিদ্যুৎ।
এদিকে স্কুলে মোমবাতির আলোতেই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তবে জন-জীবন স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের প্রায় ৭ হাজার কর্মী।
রোববার (০৪ নভেম্বর) রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক টুইটে জানান, তুষারপাতে আপেল বাগানগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া রাজ্যে সরকারকে আপেল কৃষকদের সহায়তা করার আহ্বানও জানান তিনি।
গত দুই দশকে নভেম্বরে প্রবল তুষারপাতের ঘটনা এটি চতুর্থ। এর আগে ২০০৯, ২০০৮ ও ২০০৪ সালে শ্রীনগরে ব্যাপক তুষারপতের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদফতরের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এছাড়া ওইসব সময়ে উপত্যকার সব অঞ্চলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অন্তত ১০ ডিগ্রি কমে যায় বলে তথ্যে জানা গেছে। শুধু তাই নয় শ্রীনগরের তাপমাত্রা মাইনাস ৩ ডিগ্রি এবং গুলমার্গে মাইনাস ১.৮ ডিগ্রি পর্যন্ত নামার রেকর্ড রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
এপি/জেডএস