ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সংঘাতে ৪ ইসরায়েলি, নারীসহ ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৯
সংঘাতে ৪ ইসরায়েলি, নারীসহ ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত ইসরায়েলের হামলায় নিহত শিশুকন্যা কোলে এক ফিলিস্তিনি বাবা-ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার গত তিন দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে দু’পক্ষের হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।

চলতি বছরের সবচেয়ে তীব্র এ সংঘর্ষে অন্তত ৪ ইসরায়েলি ও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ফিলিস্তিনি দুই জন অন্তঃসত্ত্বা নারী তাদের গর্ভের সন্তানসহ মারা গেছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গত শনিবার থেকে ইসরায়েলি এলাকায় ৬০০টির বেশি রকেট ছোড়া হয় গাজা থেকে। জবাবে তারা ৩২০টি লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা আঘাত করেছে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।  জাতিসংঘ, কাতার এবং মিশর অস্ত্র বিরতিতে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে।

রোববার (০৫ মে) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ানিন নেতানিয়াহু গাজায় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  নেতানিয়াহু বলেন, তার দেশের সামরিক বাহিনী ট্যাংক, আর্টিলারি ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হবে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, ফিলিস্তিন থেকে ছোড়া রকেটগুলোর মধ্যে ১৫০টির বেশি আটকাতে পেরেছে তারা।

ইসরায়েলে অব্যহত ভাবে রকেট পড়ার ঘটনায় গাজা সীমান্ত থেকে ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে সকল স্কুল বন্ধ করা হয়েছে এবং সাধারণের জন্য কিছু আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের ২৩ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন, এর বেশির ভাগই রোববার মারা গেছেন।  সংঘর্ষে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১২ বছরের একটি শিশু এবং দুই জন অন্তসত্ত্বা নারী তাদের গর্ভের সন্তানসহ মারা গেছেন।

ইসরায়েল বিরোধী একটি ইসলামিক গ্রুপ তাদের ৭ জন সদস্য মারা গেছে বলে জানিয়েছে।  অন্যদিকে নিহত ইসরায়েলিদের মধ্যে একজন নারী ও ১৪ বছরের একটি শিশু রয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি করেছে, তারা হামাস কমান্ডার হামিদ হামদান আল-কোদারির গাড়িতে হামলা করে তাকে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে হামাস গোয়েন্দা অফিসও ধ্বংস করে দিয়েছে।

বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে ইসরায়েল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

হামাস নেতা ইসমাঈল হানিয়া বলেন, ইসরায়েল সম্পূর্ণ অস্ত্রবিরতিতে গেলে শান্তি ফিরে আসা সম্ভব।

এর আগে ২০১৪ সালের জুলাই-আগস্টে অন্যতম মারাত্বক সংঘাতে জড়ায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন। তিনজন তরুণকে অপহরণ করার অভিযোগে ফিলিস্তিনে অভিযান চালায় ইসরায়েল।  

অন্যদিকে হামাসের পক্ষ থেকে সংঘাতের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়। সে সময় হামাস এবং এর সহযোগীরা সাড়ে হাজারের বেশি রকেট ছোড়ে ইসরায়েল অধিকৃত এলাকায়। সংঘাতে ৬৭ জন ইসরায়েলি সৈন্য এবং ৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।

অন্যদিকে জাতিসংঘের হিসেবে ফিলিস্তিনের ২ হাজার ২৫১ জন মারা যায়। যাদের মধ্যে ১ হাজার ৪৬২ জনই বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
এমইউএম/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।