ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মুম্বাইয়ে ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
মুম্বাইয়ে ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন স্থানীয়রাও। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ভারতের মুম্বাইয়ে একটি শতবর্ষী ভবন ধসে নিহতের সখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। চারতলা ভবনটির অনেক বাসিন্দা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত দুই শিশুসহ নয় জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী বলে পরিচিত শহরটির অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দংরি এলাকায় এ ভবন ধসের ঘটনা ঘটে।  

জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর তিনটি দলের সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন স্থানীয়রাও।

ওই এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অসংখ্য পুরনো ভবন গা ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে থাকায় ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরে, স্থানীয়রা মানববন্ধন তৈরি করে হাতে হাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে ইট-কাঠের টুকরো সরানো শুরু করেন।  

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েকটি ভবনের পাশের মাটি সরে যাওয়াতেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

২০১৭ সালে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের ওই ভবনটিকে ‘সি১ ভবন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ, নিরাপত্তা নিরীক্ষায় ওই ভবনটিকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দ্রুত ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এতদিন হলেও সে কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়নি।

শুধু ওই ভবনটিই নয়, এর আশপাশের ভবনগুলোরও একই অবস্থা। প্রতি বর্ষাতেই সেগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।  

মুম্বাই বিল্ডিং রিপেয়ার্স অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকশন বোর্ডের (এমবআরআরবি) চেয়ারম্যান বিনোদ ঘোষালকার জানিয়েছেন, ঝুঁকিপুর্ণ ভবনগুলোর উন্নয়নের কাজ ডেভেলপার কোম্পানির হাতে দেওয়া হয়েছে। তবে, তারা এখনো কাজ শুরু করেনি।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মতো মুম্বাইতেও ভবনের নিরাপত্তা একটি বড় সমস্যা। চলতি বছরের মে মাসে নাগরিক সংস্থা বিএমসি সেখানকার ৪৯৯টি ভবনকে বিপদজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৬১৯টি।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।