ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনটি মার্কিন রণতরীর কাছে চলে এসেছিল বলে দাবি ট্রাম্পের। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: হরমুজ প্রণালিতে একটি ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ড্রোনটি মার্কিন রণতরীর খুব কাছে চলে আসায় ‘নিরাপত্তার খাতিরে’ সেটি ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ড্রোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের এ দাবি অস্বীকার করেছে তেহরান। 

হোয়াইট হাউজের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ইউএসএস বক্সার নামে একটি উভচর রণতরীর কাছাকাছি চলে আসে ইরানের ড্রোনটি।  

এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানি ড্রোনটি বক্সারের খুব কাছাকাছি, আনুমানিক এক হাজার ইয়ার্ডের (৯১৪ মিটার) মধ্যে চলে এসেছিল।

বেশ কয়েকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সেটি নিবৃত্ত হয়নি। এতে জাহাজের ক্রুদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। একারণেই আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ড্রোনটিকে তাৎক্ষণিক ধ্বংস করা হয়।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী নৌযানের ওপর ইরানের উস্কানিমূলক ও বিরূপ আচরণের সর্বশেষ নমুনা এটি। নিজস্ব কর্মকর্তা, স্থাপনা ও স্বার্থ রক্ষার অধিকার আছে যুক্তরাষ্ট্রের।

তবে, ট্রাম্পের এ দাবি অস্বীকার করেছে ইরান। তারা জানিয়েছে, নিজেদের কোনো ড্রোন হারানোর খবর তাদের কাছে নেই।

এর আগে, গত রোববার (১৪ জুলাই) তেলপাচারের অভিযোগে ১২ জন ক্রুসহ একটি বিদেশি ট্যাংকার আটকের দাবি করে তেহরান।

‘এলিট বাহিনী’ রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, লারাক দ্বীপের উপকূল থেকে আটক পানামার পতাকাবাহী ওই জাহাজটি প্রায় ১০ লাখ লিটার জ্বালানি তেল পাচার করছিল।

এদিকে, ইরান সত্যিই কোনো ট্যাংকার আটক করলে, তা দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

নতুন ট্যাংকার আটক ও ড্রোন ভূপাতিতের ঘটনা ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি ২০১৫ সালে ছয় দেশের সঙ্গে করা ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে তাদের ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র।  

এবছর ওমান উপকূলে কয়েকটি তেলবাহী জাহাজের ওপর হামলার ঘটনায় সবসময়ই ইরানকে দায়ী করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আর, প্রতিবারই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান।

এর মধ্যেই ‘নিজেদের’ আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করে ইরান। একই সময় মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক হাজার সৈন্য মোতায়েনের ঘোষণা দেয় পেন্টাগন। এতে, উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও ইরানের সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। সম্প্রতি, জিব্রাল্টার প্রণালিতে ইরানের একটি ট্যাংকার আটক করে ব্রিটিশ রয়্যাল মেরিন। জাহাজটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে সিরিয়া যাচ্ছিল বলে অভিযোগ করা হয়।

এর সপ্তাহখানেক পরই পারস্য উপসাগরে কয়েকটি ইরানি নৌকা একটি ব্রিটিশ ট্যাংকারের গতিরোধের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ তোলে যুক্তরাজ্য। যদিও, বরাবরে মতো এ অভিযোগও অস্বীকার করে ইরান।

আরও পড়ুন
ইরানের পারমাণবিক চুক্তিভঙ্গে গুরুত্ব দিচ্ছে না ইইউ

যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে সমঝোতায় রাজি: রুহানি

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি বাতিলের কারণ ওবামা!

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।