ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করলো পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করলো পাকিস্তান জরুরি বৈঠকে ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: কাশ্মীর ইস্যুতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। ভারতের সঙ্গে সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাতিল করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে, ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে তারা। পাশাপাশি, নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনারকেও দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৭ আগস্ট) পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

এতে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, মানবাধিকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, অর্থ উপদেষ্টা, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান, সেনা ও বিমানবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর ভাইস চিফসহ গোয়েন্দা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।  

ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাতিল, সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি পুনর্মূল্যায়নসহ ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে এক টুইটবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, এনএসসির বৈঠকে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

গত সোমবার (৫ আগস্ট) রাজ্যসভায় তুমুল হট্টগোলের মধ্যে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণা দেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগে, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় লোকসভাতেও বিষয়টি পাস করাতে বেগ পেতে হয়নি বিজেপির।  

তবে, এ সিদ্ধান্তে গোটা বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে কাশ্মীরীদের পক্ষে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। কাশ্মীর বিভাজনের বিরোধিতা করছে প্রতিবেশী দেশ চীনও।

তবে, এসব সমালোচনাতে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না মোদী সরকার। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার আগেই কাশ্মীর উপত্যকায় বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়। ঘোষণার পর জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এরই মধ্যে বন্দি করা হয়েছে কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আব্দুল্লাহসহ মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক নেতাকে। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট, ক্যাবল নেটওয়ার্কসহ সব ধরনের যোগাযোগ। রাস্তায় রাস্তায় সাঁজোয়া যান নিয়ে টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী।

এরমধ্যে বুধবার (৭ আগস্ট) কারফিউ চলাকালে বিক্ষোভকারী এক কাশ্মীরী তরুণ পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে পড়ে মারা গেছেন। এছাড়া, গুলিবিদ্ধ হয়ে বা অন্য আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও অন্তত ছয় জন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।