ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে ‘বিধিনিষেধে’ জাতিসংঘের ‘গভীর উদ্বেগ’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
কাশ্মীরে ‘বিধিনিষেধে’ জাতিসংঘের ‘গভীর উদ্বেগ’ অবরুদ্ধ জম্মু ও কাশ্মীর, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নসহ যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেসবে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে তুলবে।

বুধবার (০৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এক মুখপাত্র জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর আরোপ করা টেলিযোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা, কাশ্মীরি নেতাদের নির্বিচারে আটকে রাখা ও অঞ্চলটিতে রাজনৈতিক সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে ধরে এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

গত ০৪ আগস্ট (রোববার) থেকে অঞ্চলটিতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

অবরুদ্ধ হয়ে আছে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলটির সব মানুষ। এর মধ্যে আবার ভারত সরকার ‘পরিকল্পিতভাবে’ নিজেদের সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে দিয়ে অঞ্চলটির বিশেষ মর্যাদাও কেড়ে নিয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্য ভেঙে দিয়ে কেন্দ্র শাসনের আওতায় এনে বড় বিভাজন সৃষ্টি করেছে। সবমিলে এই অঞ্চলে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ পরিস্থিতি আরও বাড়বে বলে মনে করছে জাতিসংঘ।

টুইটে একটি ভিডিওবার্তায় জাতিসংঘ মুখপাত্র বলেন, কাশ্মীরের ওপর ভারতের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞাগুলোয় আবারও উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ। মানবাধিকার পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে।

তিনি বলেন, আবারও আমরা রিপোর্ট পেয়েছি, অঞ্চলটিকে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ রকম রিপোর্ট এর আগেও আমরা পেয়েছিলাম। আমরা রিপোর্ট পেয়েছি, এ অঞ্চলে রাজনৈতিক বিরোধী এবং প্রতিবাদকারীদের নির্বাচারে আটক করে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। যারা বিক্ষোভ মোকাবিলা করছে, তারা বিভিন্নভাবে হত্যার শিকার এবং গুরুতর আহত হচ্ছেন।

দেশের অন্যান্য অংশের কাশ্মীরিদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতের অন্যান অংশে থাকা কাশ্মীরিরা নিজেদের পরিবারে যেতে পারছে না। একইসঙ্গে অঞ্চলটির রাজনৈতিক নেতাদেরও আটক করা হয়েছে এবং আরও হচ্ছে।

এছাড়া ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই অঞ্চলের অভ্যন্তরের লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, অঞ্চলটির মানুষ প্রতিবাদী বিক্ষোভে উত্তাল। ইতোমধ্যেই এরা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করেছে।

এর আগে ৫ আগস্ট (সোমবার) দীর্ঘদিনের রাজনৈতি এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় বিরোধীদের তুমুল বাধা ও হট্টগোলের মুখে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ ধারা রদের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে রাজ্যটি ভেঙে কেন্দ্র শাসনের আওতায় আনে বিজেপি সরকার।

এর একদিন আগে রোববার থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করে দেয় সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় ফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা।

এছাড়া সোমবার রাতে গ্রেফতার দেখানো হয় অঞ্চলটির সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আব্দুল্লাহকে। এর আগে রোববার থেকে তারা গৃহবন্দি ছিলেন। এছাড়া আরও রাজনৈতিক বিরোধীদের আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।