ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশও সিএবি নিয়ে উদ্বিগ্ন: পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯
বাংলাদেশও সিএবি নিয়ে উদ্বিগ্ন: পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) পাস নিয়ে বাংলাদেশও পাকিস্তানের মতোই উদ্বিগ্ন বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। 

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি ভারতীয় রাজ্য বিহারের মুসলমানদের ভাগ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তার দেশে অভিবাসীদের আগমন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।

গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সৌদি আরবের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা বলেন। সৌদি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন শুরা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম আল-শেখ।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।  

পাকিস্তানি প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব মিজান জেহাঙ্গির ইকবাল জানান, আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সাম্প্রতিক এক সম্মেলনে (জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন- ন্যামের ১৮তম শীর্ষ সম্মেলন) শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয় ড. আলভির। সেসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।  

সাক্ষাতে উপস্থিত এক সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশঙ্কা করছেন, ভারত সরকার যদি বিহারের মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়, তারা (বিহারের মুসলমান) বাংলাদেশে অভিবাসনের চেষ্টা করবে। ’

দেশটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সৌদি আরব মুসলিম উম্মাহর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবসময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া ভারতের মুসলমানদের নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা তুলে ধরতে সৌদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিভিন্ন দেশ থেকে ভারত গিয়ে যেসব অমুসলিম (হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পারসী) দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন কিন্তু কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই বা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দিতে তৈরি হচ্ছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি। গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দেশটির মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে বিতর্কিত এই বিল।

গত জানুয়ারিতেই লোকসভায় পাস হলেও রাজ্যসভায় গিয়ে আটকে যায় বিলটি। বিরোধীদের দাবি, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এটি কার্যকর হলে মুসলমানরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) মতো সিএবি চালুর ক্ষেত্রেও কড়া বিরোধিতা করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।