সোমবার (৯ ডিসেম্বর) প্রতিনিধি পরিষদের বিচার বিভাগীয় কমিটির সর্বশেষ উন্মুক্ত শুনানি শেষ হয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ডেমোক্র্যাটিক দল অভিশংসন ধারা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।
ডেমোক্র্যাটরা অন্তত দু’টি ধারা ঘোষণা করার কথা ভাবছে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ এবং আরেকটি ‘কংগ্রেসের কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি’। এছাড়া, ‘বিচার কাজে বাধা’র জন্য অন্য একটি ধারা ঘোষণার ব্যাপারেও চিন্তা-ভাবনা করছে তারা।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ধারা দু’টি ঘোষণা করতে যাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। ধারাগুলোর ওপর বিচার বিভাগীয় কমিটির যুক্তি-তর্ক শুরু হবে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, রাজনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য ইউক্রেনকে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য চাপ দিয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করেছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। এছাড়া, ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
ডেমোক্র্যাটদের দাবি, আগামী নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ যেন না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে ট্রাম্পের অভিশংসন ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
এদিকে, মার্কিন সরকারের বিশেষ উপদেষ্টা রবার্ট মুয়েলারের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণ মিলেছে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল। এছাড়া, সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি’র সঙ্গে ট্রাম্পের এক ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে, যেখানে জেলেনস্কিকে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলের ব্যাপারে তদন্ত করতে বলেন ট্রাম্প। তদন্তের আগ পর্যন্ত ট্রাম্পের নির্দেশে ইউক্রেনের জন্য কংগ্রেসের বরাদ্দ করা প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য আটকে দেওয়া হয়।
রিপাবলিকানদের বিরোধিতা সত্ত্বেও দু’টি ধারায় ট্রাম্পকে অভিশংসিত করতে যাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্প এটি কীভাবে মোকাবিলা করেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
এফএম