ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আধমরাকে পিটিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ালো পুলিশ, অবশেষে মৃত্যু 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
আধমরাকে পিটিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ালো পুলিশ, অবশেষে মৃত্যু 

দিল্লিতে সহিংসতার চলাকালে পাঁচ যুবকের ওপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। মৃতপ্রায় অবস্থায়ও তাদের রেহাই মেলেনি পুলিশের নৃশংস অত্যাচার থেকে। অবস্থা এমন যে তাদের মেরে মেরে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধ্য করে পুলিশ। একপর্যায়ে হাসপাতালে নির্যাতিতদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। 

নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, নির্যাতিত যুবকদের এ অবস্থাতেই জোর করে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ানো হচ্ছিল।

 

না গাইলে চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় মাথাও ঠুকে দেওয়া হচ্ছিল। জানতে চাওয়া হচ্ছিল, ‘‘আর আজাদি চাই!’’ কিনা!

নৃশংস অত্যাচারের শিকার ওই পাঁচ যুবকের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।  

খবরে বলা হয়, মৃত ওই যুবককে ফয়জান (২৪) বলে শনাক্ত করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির কর্দমপুরীর বাসিন্দা তিনি। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় লোক নায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।  

হাসপাতালের চিকিৎসক কিশোর সিংহ বলেন, মঙ্গলবার নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ওই যুবককে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে। মুমূর্ষ ওই যুবকের শরীরে গুলি লাগে। শারীরিক অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে ফুটপাতের পাশে নীল জামা পরিহিত একব্যক্তিকে দেখা যায়। তিনি-ই মৃত ফয়জান বলে শনাক্ত করা হয়েছে।  

উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিসিপি) বেদপ্রকাশ সূর্য জানান, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

এদিকে ভিডিওতে কৌসর আলী নামের এক ব্যক্তিও রয়েছেন বলে জানা গেছে। কৌসর আলীর ছেলে তারিক আলী জানান, সোমবার রাত ১০টা নাগাদ একটা ফোন আসে। বলা হয়, আহত অবস্থায় গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তার বাবা। তারপর ফেসবুকে ওই ভিডিওতে বাবা কৌসর আলীকে দেখতে পান তিনি।  

কৌসর আলী পেশায় একজন চিত্রশিল্পী। ইন্ডিয়া গেট থেকে সোমবার তিনি কর্দমপুরীর বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এমএ/
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।