ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যন্ত্র দিয়ে করোনা ভাইরাস মেরে ফেলছে ভারত!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২০ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২০
যন্ত্র দিয়ে করোনা ভাইরাস মেরে ফেলছে ভারত!

ক্রমাগত তাপ ছড়াচ্ছে যন্ত্রটি। আর সেই তাপেই ক্রমে ধ্বংস হচ্ছে করোনা ভাইরাসের আরএনএ। এভাবে এবার করোনা বিনাশে নেমেছে ‘অতুল্য’। এই নামেই তাকে ডাকতে শুরু করেছেন বৈজ্ঞানিকরা। ওজন তিন কিলোগ্রামের মধ্যে। যেকোনো বস্তুর গায়ে যদি করোনা ভাইরাসের চিহ্নটুকুও থাকে, তবে ‘অতুল্য’ তা লোপ করতে প্রস্তুত।

আসলে এটি একটি ‘মাইক্রোওয়েভ স্টেরিলাইজার’। এই যন্ত্র দিয়েই ধ্বংস করা হচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস।

সেই প্রমাণ ইতোমধ্যেই পেয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞানীরা। এবার সাধারণ মানুষ যাতে কম দামে ‘অতুল্য’কে ব্যবহার করতে পারেন, সেই উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত।

‘অতুল্য’ তৈরির পুরো কৃতিত্ব ভারতের ডিফেন্স ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভানসড টেকনোলজির। পুণের এই সংস্থাটি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও’র আওতায় পড়ে। কিছুদিন আগেই ডিআরডিও করোনাভাইরাস নষ্ট করার জন্য একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছিল।

ওই যন্ত্রটি থেকে অতিবেগুনি রশ্মি বের হয়। ওই রশ্মিই কিছুক্ষণের মধ্যে কাবু করে ফেলে করোনা ভাইরাস। ধ্বংস করে ফেলে তার ডিএনএ ও আরএনএ। ওই যন্ত্রের মধ্যে রাখা মোবাইল, ফাইল বা টুপির মতো হালকা বস্তুতে থাকা করোনা ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ওই যন্ত্রটি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে বৈজ্ঞানিকরা এমন কোনো যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেন, যাতে বিনাশ হবে আরও বেশি ওজনের বস্তুর ওপর লেগে থাকা করোনা ভাইরাস। কিন্তু এই ক্ষেত্রে অতিবেগুনি রশ্মি বা আলট্রাভায়োলেট রে’র বদলে তাপকেই ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই ডিফেন্স ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভানসড টেকনোলজি তৈরি করেছে ‘মাইক্রোওয়েভ স্টেরিলাইজার’টি।

ভারতবাসীর ঘরে ঘরে রয়েছে মাইক্রোওয়েভ। খাবার গরম করতে এর ব্যবহার অতুলনীয়। আবার অনেকে শিশুদের দুধের বোতল বা অন্য বস্তু গরম করতে মাইক্রোওয়েভ স্টেরিলাইজার ব্যবহার করেন। বিদেশে ২০ ডলারের মধ্যেও পাওয়া যায় এই ধরনের যন্ত্র। কিন্তু ‘অতুল্য’কে তৈরি করা হয়েছে এমনভাবে, যাতে ভারী বস্তুও তাপের মাধ্যমে স্টেরিলাইজ করা যায়।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই যন্ত্রের সামনের অংশটি অনেকটা চোঙের মতো। ওই চোঙের ভিতর দিয়ে তিন কিলোগ্রাম ওজনের মধ্যে থাকা যে কোনও বস্তু যন্ত্রের ভিতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যন্ত্রটি চালু করা হলে এক মিনিট ধরে ৫৬ থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপপ্রবাহ ক্রমাগত বস্তুটির ওপর ছড়াতে শুরু করে। ক্রমাগত ছড়ানো এই তাপ সহ্য করতে পারে না করোনা ভাইরাস। বিনষ্ট হয়ে যায়।

জানা গেছে, এই যন্ত্রটি বহনযোগ্য। ঘর ও অফিস যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করা যায়। যাতে কম দামে সাধারণ মানুষ যন্ত্রটি কিনতে পারেন, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।