ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বানরের শরীরে করোনার টিকা প্রয়োগ, শতভাগ ‘সাফল্য পেল’ চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২০
বানরের শরীরে করোনার টিকা প্রয়োগ, শতভাগ ‘সাফল্য পেল’ চীন ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ডো মিটারে শনিবার (৯ মে) সর্বশেষ আপডেটকৃত তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৪০ লাখ ১২ হাজার ৮৩৭ জনের শরীরে। প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।

সম্প্রতি বানরের শরীরে একটি নতুন উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন (প্রতিষেধক) প্রয়োগ করে শতভাগ সাফল্য পেয়েছেন চীনা গবেষকরা।

পিকো ভ্যাক নামে (প্রতিষেধক) টিকাটি তৈরি করেছে বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠ্যান সিনোভ্যাক বায়োটেক।

এতে প্রচলিত ভাইরাস প্রতিরোধী প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হয়েছে। কোনো প্রাণীর শরীরে প্রতিষেধক প্রয়োগ করলে অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়। যা করোনার সংক্রমণ ধ্বংস করতে সহায়তা করে।

চলতি বছরের ৬ মার্চ সায়েন্স ম্যাগাজিনে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, সম্প্রতি রিসাস ম্যাকাকিউস প্রজাতির একদল বানরের শরীরে নতুন প্রতিষেধকটি প্রয়োগ করেছেন চীনা গবেষকরা। পরে তিন সপ্তাহ পরে বানরগুলোকে করোনা ভাইরাসে সংস্পর্শে নেওয়া হয়।

এক সপ্তাহ পরে দেখা যায়, যেসব বানরের শরীরে বেশি মাত্রায় প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছিলো তাদের ফুসফুসে করোনার উপস্থিতি নেই। কিন্তু প্রতিষেধকটি ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছে। আর যেসব বানরকে ভ্যাকসিন বা টিকা দেওয়া হয়নি সে বানরগুলো করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত বানরের শরীরে নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলের মানবদেহেও পিকো ভ্যাকের ট্রায়াল শুরু হয়।

এদিকে করোনা মোকাবিলায় পিকো ভ্যাকই একমাত্র ভরসা নয়! একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রায় একই ধরনের আরেকটি প্রতিষেধক তৈরি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। ইতোমধ্যেই হিউম্যান ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করেছে এটি। তবে প্রতিষেধক তৈরিতে একটি সমস্যার মুখে পড়তে পারেন দেশটির গবেষকরা।  

এই পর্যন্ত চীনে করোনার সংক্রমণ অনেক কমে গেছে। দেশটিতে এখন কয়েকশ রোগী আক্রান্ত আছেন। কিছুদিনের মধ্যেই মানবদেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য স্বেচ্ছাসেবক খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে তাদের জন্য। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম) প্রতিষোধক তৈরি বন্ধ হয়েছিলো ওই কারণেই।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।