ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বতসোয়ানায় রহস্যজনক কারণে শত শত হাতির মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২০
বতসোয়ানায় রহস্যজনক কারণে শত শত হাতির মৃত্যু

আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় গত দুই মাস ধরে রহস্যজনক কারণে শত শত হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। গণহারে হাতিদের এমন মৃত্যুর ঘটনা নজিরবিহীন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বুধবার (১ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।  

যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ‘ন্যাশনাল পার্ক রেস্কিউ’র ড. নায়াল ম্যাকান জানিয়েছেন, বতসোয়ানায় মে মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তার সহকর্মীরা বতসোয়ানার উত্তরাঞ্চলের ওকাভাঙ্গা ব-দ্বীপে ৩৫০টিরও বেশি হাতির মরদেহ দেখেছেন।

 

কী কারণে এতো এতো হাতির মৃত্যু হচ্ছে কেউ জানে না। এরই মাঝে মৃত হাতিদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলাফল আসতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  

খবরে বলা হয়, আফ্রিকা মহাদেশে দিন দিন হাতির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এ মহাদেশের ৩ ভাগের এক ভাগ হাতির আবাসস্থলই বতসোয়ানায়।    

প্রথমে কীভাবে গণহারে মারা যেতে থাকা এ হাতিরা নজরে এলো, এ প্রসঙ্গে ড. নায়াল ম্যাকান বলেন, মে মাসে প্লেনে করে ওকাভাঙ্গা পরিদর্শনের পর বিবিসির স্থানীয় প্রতিনিধি ও পরিবেশবাদীরা এ ব্যাপারে প্রথম সরকারকে সতর্কতা জানান।  

‘মাত্র ৩ ঘণ্টার উড্ডয়নে সে সময় তারা ১৬৯টি হাতির মরদেহ দেখতে পান। এতো কম সময়ে এতো মরা হাতি চোখে পড়া অস্বাভাবিক। এক মাস পর আরও কিছু হাতির মরদেহ চোখে পড়ে। সব মিলিয়ে এ সংখ্যা ৩৫০-এরও বেশি। ’

‘ক্ষরা বা অনাবৃষ্টি ছাড়া এক সঙ্গে এতো হাতির মৃত্যু নজিরবিহীন। কেবল হাতিরাই মারা যাচ্ছে। ’

মে মাসেই দেশটির সরকার নিশ্চিত করে, এতো এতো হাতির মৃত্যুর পেছনে চোরাশিকারীদের হাত নেই। কারণ সে ক্ষেত্রে মৃত হাতিগুলোর দাঁত থাকতো না। বহুমূল্য এসব দাঁতের লোভেই তারা হাতি মারে।  

ড. নায়াল ম্যাকান বলেন, অনেকে মনে করছেন, তাদের স্নায়বিক কোনো সমস্যা হচ্ছে। হতে পারে কিছু একটা তাদের স্নায়ুযন্ত্রকে আক্রমণ করছে।  
বতসোয়ানার বণ্যপ্রাণী ও জাতীয় উদ্যান বিভাগের প্রধান পরিচালক ড. সাইরিল তাওলো জানান, এখন পর্যন্ত তারা অন্তত ২৮০টি হাতির মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। কী কারণে এতো এতো হাতির মৃত্যু হচ্ছে, এ ব্যাপারে এখনও তারা কিছু জানেন না  বলে জানিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০ 
এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।