ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে চীনা গবেষকের বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
যুক্তরাষ্ট্রে চীনা গবেষকের বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ ছবি: সংগৃহীত

স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক ভিজিটিং রিসার্চারের বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্ট। ওই গবেষক চীনা সেনাবাহিনীর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও, সেটি গোপন করেছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিচার বিভাগের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাটর্নি ডেভিড অ্যান্ডারসন এবং ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) স্পেশাল এজেন্ট জন বেনেট জানান, সং চেন নামে ওই গবেষক চীনের সেনাবাহিনীর সক্রিয় সদস্য হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ বিষয়ে মিথ্যে বলেছেন।

অভিযোগ অনুসারে, সং ২০১৮ সালে মার্কিন ভিসার জন্য করা আবেদনে বলেন সেনাবাহিনীতে তার কাজ শেষ হয়েছে ২০১১ সালে। কিন্তু এফবিআইয়ের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, তিনি চীনা সেনাবাহিনীতে বেসামরিক ক্যাডার হিসেবে সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

আদালতের তথ্য অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট প্রমাণের মধ্যে নিউইয়র্কের চীনা কনস্যুলেটের উদ্দেশে লেখা সংয়ের একটি চিঠি রয়েছে। এতে সং উল্লেখ করেন তার নাম, জন্ম তারিখ এবং পেশা নিউরোলজিস্ট।

তিনি বেইজিং শি দিয়াওউতাই হাসপাতালে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন, যা সত্যি নয়। তিনি চীনা বিমানবাহিনী এবং চীনের ফোর্থ মিলিটারি মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি (এফএমএমইউ) থেকে অনুমোদন পেয়েছেন।

আরেকটি প্রমাণ হলো, ২০১৮ সালে চীনের এয়ার ফোর্স জেনারেল হাসপাতালের অধীনে সহ-লেখক হিসেবে সংয়ের একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।

এর আগে জুন মাসে একই ধরনের ঘটনায় ওয়াং শিন নামে চীনা এক সামরিক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত গবেষণা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার চেষ্টা করছিলেন। তার বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। এফবিআইয়ের অভিযোগ অনুযায়ী, ওয়াং চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যা তিনি ভিসা আবেদনে উল্লেখ করেননি।

এর আগে জানুয়ারিতে বোস্টন ইউনিভার্সিটির রোবটিক্স রিসার্চার ইয়ে ইয়ানকিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি চীনা সেনাবাহিনীতে কাজ করার তথ্য গোপন করেছিলেন। বোস্টন ইউনিভার্সিটির গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য চীন সরকারের কাছে পাচার করার অভিযোগও আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

এসব কারণে মে মাসে চীনা শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

সং, ওয়াং, ইয়ে- তিনজনই যুক্তরাষ্ট্রে জে ভিসার মাধ্যমে প্রবেশ করেছিলেন। কাজ ও পড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আগতদের নন-ইমিগ্র্যান্ট ক্যাটাগরিতে এ ভিসা দেওয়া হয়।

সূত্র: এএনআই

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।