ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জম্মু রোপওয়ে প্রজেক্ট নিয়ে আশাবাদী স্থানীয়রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২০
জম্মু রোপওয়ে প্রজেক্ট নিয়ে আশাবাদী স্থানীয়রা জম্মু রোপওয়ে প্রজেক্ট

অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্থানীয়দের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মহামারি পরিস্থিতি শেষ হওয়ার পরই জম্মু রোপওয়ে প্রজেক্টের পর্যটন কার্যক্রম শুরু হবে।

জম্মু রোপওয়ে প্রজেক্টের ব্যবস্থাপক রাকেশ ভাট বলেন, ‘এর মাধ্যমে ক্যাব, হোটেল, পরিচ্ছন্নতা, রক্ষণাবেক্ষণের মতো ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

মহামারি পরিস্থিতি শেষ হলে জনসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত হবে। ’

বিশেষ এ প্রকল্পটি দুই ভাগে বিভক্ত। একটি বহু কেল্লা থেকে মহামায়া মন্দির পর্যন্ত, যা ৪৮৪ মিটার দীর্ঘ এবং দ্বিতীয়টি মহামায়া মন্দির থেকে পীর খো গুহা মন্দির পর্যন্ত, যা ১ হাজার ১৮৪ মিটার দীর্ঘ।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৭৫ কোটি রুপি। প্রতি ঘণ্টায় এর ধারণ ক্ষমতা চারশ’ যাত্রী। প্রকল্পটি জম্মুর তিনটি প্রাচীন মন্দিরকে সংযুক্ত করেছে। এটি স্থানীয় পর্যটনকে আরও গতিশীল করবে। পর্যটকদের জন্য রেস্তোঁরা, বিনোদনকেন্দ্র ইত্যাদি সুবিধা থাকবে। ’

এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ৩০ মাস। এক রাউন্ড ট্রিপের জন্য একজনের খরচ তিনশ’ রুপি নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

জম্মুর বাসিন্দারা বছরের পর বছর এ প্রকল্পের জন্য অপেক্ষা করেছেন। এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে তারা আনন্দিত।

জম্মুর বাসিন্দা মোহাম্মদ রমজান বলেন, ‘আমরা সত্যিই ভালো অনুভব করছি যে এ ধরনের একটি প্রকল্প এখানে বাস্তবায়িত হয়েছে। এ ধরনের যে কোনো প্রকল্পই আমাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। জম্মুর একটি পর্যটনকেন্দ্র দরকার ছিল, যা পর্যটন এবং কর্মসংস্থান উভয় ক্ষেত্রেই ভালো হবে। ’

১৯৯৫ সালে প্রকল্পটির পরিকল্পনা করা হলেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। অবশেষে ২৫ বছর পর এটি বাস্তবায়িত হলো।

সূত্র: এএনআই

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।