তাইওয়ানের প্রতি চীনের যুদ্ধের হুমকি এবং স্বাধীন এই দ্বীপের কাছে চীনের সামরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমতায় আসার প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চীনা যুদ্ধবিমান বেশ কয়েকবার তাইওয়ানের সীমানায় ঢুকে পড়ে।
চীন গত মাসে তাইওয়ানকে (গণপ্রজাতন্ত্রী চীন) সতর্ক করে দেয় যে ‘স্বাধীনতা চাওয়া মানে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল’।
পূর্ব এশিয়ার যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ এবং যুদ্ধোত্তর জাপানের লেখক আলেসিও পাতালানো এক্সপ্রেস.কো.ইউকেকে বলেন, প্রেসিডেন্ট শি-এর হুমকিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রেসিডেন্ট শি যে এ বিষয়ে সিরিয়াস নন তার কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। আমি এটাও বিশ্বাস করি যে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাসে ২০৪৯ সালকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
তাইওয়ানের মালিকানা দাবি করে চীন, যদিও সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে পৃথকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে তাইওয়ানের প্রতি বাইডেনের সমর্থন কতটুকু তা পরীক্ষা করছে চীন।
ড. পাতালানো একমত হয়েছেন যে, চীনের সামরিক পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো নতুন মার্কিন প্রশাসনের কাছে একটি বার্তা পাঠানো।
তিনি ব্যাখ্যা করেন কীভাবে ২০২০ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকে ওই এলাকায় চীনের সামরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক যুদ্ধের হুমকি আসে তখনই আসে যখন চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বারবার দাবি করেছেন, দ্বীপটি ইতোমধ্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।
বাইডেন প্রশাসনও তাইওয়ানকে সাহায্য করার জন্য তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
মার্কিন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আত্মরক্ষার ক্ষমতা বজায় রাখতে আমরা তাইওয়ানকে সাহায্য করব।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
নিউজ ডেস্ক