সৌর প্যানেলে ব্যবহৃত পলিসিলিকন উৎপাদনে আটক মুসলিম সংখ্যালঘুদের জোরপূর্বক কাজ করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কনসালটেন্সি হরাইজন অ্যাডভাইসরির একটি প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য কোরিয়া হেরাল্ড।
কোরিয়াভিত্তিক সংবাদপত্রটি বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সৌর কোম্পানিগুলো জিনজিয়াং অঞ্চলকে তাদের সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে বাদ দিতে চাচ্ছে।
হুন্দাই মোটর সিকিউরিটিজ বিশ্লেষক ক্যাং ডং-জিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সৌর শক্তি শিল্প অ্যাসোসিয়েশন (এসইআইএ) জিনজিয়াংকে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ক্যাং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপকে জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার ইস্যুর প্রতি একাত্মতা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং যুক্তরাজ্য সম্প্রতি চীনের ওপর সম্ভাব্য বাণিজ্য অনুমোদনের ইঙ্গিত দিয়ে সাড়া দিয়েছে। সম্ভবত আমেরিকা, ইউরোপ এবং তাদের মিত্ররা ভবিষ্যতে চীনা পলিসিলিকন দিয়ে তৈরি সৌর প্যানেল এবং মডিউল থেকে দূরে থাকবে।
কোরিয়া হেরাল্ড বলেছে, এই রিপোর্ট দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজারে পা রাখার সুযোগের একটি জানালা খুলে দিয়েছে।
ক্রমবর্ধমান সমালোচনার কারণে, লঙ্গি সোলার, জেএ সোলার এবং জিঙ্কো সোলারের মতো বিশাল চীনা সৌর প্যানেল নির্মাতারা গত মাসে সৌর শক্তি শিল্প অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য ১৭২ জন সদস্যের সাথে একটি অঙ্গীকার স্বাক্ষর করেছে।
৮ ফেব্রুয়ারি লংগি সোলার কোরিয়ান পলিসিলিকন প্রস্তুতকারক ওসিআই-এর সাথে ৯৩০ বিলিয়ন ডলারমূল্যের একটি দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
ওসিআই একমাত্র কোরিয়ান রাসায়নিক কোম্পানি যারা পলিসিলিকন তৈরি করে, আশা করা হচ্ছে মালয়েশিয়ার তার কারখানায় বছরে ২৫,০০০ মেট্রিক টন পলিসিলিকন উৎপাদন করবে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে লঙ্গি সোলারে সরবরাহ করবে।
উইঘুর এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করার অভিযোগে গত কয়েক বছর ধরে চীন ক্রমাগতভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। সবশেষে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে চীনকে মূল্য দিতে হবে।
এসসিএমপির মতে বেইজিং অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, তারা ধর্মীয় চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করে। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
নিউজ ডেস্ক