প্রতি রাতে চীন থেকে অজানা পণ্য ও কর্মী নিয়ে মায়ানমারে অবতরণ করছে অনিবন্ধিত ফ্লাইট।
চীনা সরকার এবং মিয়ানমার এয়ারওয়েজ দাবি করেছে, বিমানগুলো সামুদ্রিক খাদ্য বহন করছে।
তবে এসব ফ্লাইটের ব্যাপারে বিস্তারিত বিবরণ অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই) প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিমানগুলো কী বহন করছে তার জন্য দুটি সম্ভাবনা প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি হচ্ছে তারা চীনা সৈন্য এবং সাইবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসছে তথ্য এবং ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য। অন্যটি হচ্ছে তারা অস্ত্রের যোগান বাড়াচ্ছে।
গবেষকরা বলেছেন, প্রতি রাতে গড়ে পাঁচটি ফ্লাইট, তিনটি বিমান ইয়াঙ্গুন থেকে দক্ষিণ চীনের কুমিং ভ্রমণ করছে। দুটি বিমান মিয়ানমার এয়ারওয়েজের রঙে আঁকা এবং অন্যটি অচিহ্নিত। এগুলো সবই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ইজারা নেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও তাদের ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করার মত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ফ্লাইট লুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ইঞ্জিন থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাঠানো তথ্য এবং ইয়াঙ্গুনের বিমানবন্দরের কর্মীরা এবং সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী মিয়ানমারের নাগরিক অবাধ্যতা আন্দোলনের সদস্যরা টুইটারে ছবি পোস্ট করেছে।
মিয়ানমারের অত্যাচার নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালে প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এরপর থেকে তাদের বিরুদ্ধে মুসলিম সংখ্যালঘু বা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এবং অন্যান্য নৃশংসতাসহ নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যদিও তারা বারবারই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সরকারকে উৎখাত করে এবং নবনির্বাচিত সংসদ অধিবেশনের কয়েক ঘণ্টা আগে এক বছর ব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২১
নিউজ ডেস্ক