চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) নিয়ে ইমরান খান উচ্ছ্বসিত হলেও সিপিইসির প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গিলগিত-বালতিস্তান তার অবহেলার শিকার। অঞ্চলটির উন্নয়নে বরাদ্দকৃত নগদ অর্থ ও প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট-এ প্রকাশিত মাইকেল রুবিনের ‘গেটওয়ে টু দ্য চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর ইজ ক্লোজিং’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ অনুসারে, সিপিইসি পাকিস্তানের ওপর ঋণের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে, চীন বা আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলির কাছে দেশটির সার্বভৌমত্ব বন্ধক রাখা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
গিলগিত-বালতিস্তানকে পাকিস্তানের ভেতর অন্তর্ভুক্তকরণ অবৈধ হলেও এই অঞ্চলটি সিপিইসির প্রবেশদ্বার হিসেবে চিহ্নিত, সিপিইসি ইতোমধ্যে অবহেলিত অঞ্চলে ভ্রান্ত প্রতিশ্রুতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের মতে, সিপিইসির সাফল্যের জন্য গিলগিত-বালতিস্তান ভৌগলিকভাবে অপরিহার্য এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ মহাসড়কের পাশে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিছুই বাস্তবে পরিণত হয়নি।
একইভাবে সিপিইসির অধীনে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও কল্যাণের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেগুলো আজকের দিনেও আলোর মুখ দেখেনি।
গিলগিত-বালতিস্তান যখন ভুগছে, পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বরাদ্দকৃত অর্থ এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির বেশিরভাগই তাদের নিজস্ব পছন্দের অঞ্চল সিন্ধু ও পাঞ্জাবের জন্য পরিচালিত করেছে। এর উদাহরণ হলো—সোয়াতের চাকদারা থেকে ফতেহপুরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৫০ মাইল দীর্ঘ ফোর লেনের গিলগিত-চিত্রাল মহাসড়কের পরিকল্পনা বাতিল করেন ইমরান খান।
দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের মতে, গিলগিত-বালতিস্তান কেবল সিপিইসির সুবিধা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে তা-ই নয়, ইমরান খাঁনের চীনকে সন্তুষ্ট করার বাসনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তান যখন চীনের নির্দেশে স্থানীয় খনি শ্রমিকদের লাইসেন্স বাতিল করেছিল, চীনা ঠিকাদাররা তাদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে বাস্তুচ্যুত করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২১
এমজেএফ