আগামী ১০ মার্চ তিব্বতী জাতীয় গণজাগরণের ৬২তম বার্ষিকী পালন করবেন সারা বিশ্বের তিব্বতীরা। যারা তিব্বতের সংগ্রামের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এদিন তাদের অবদান স্মরণ করা হবে।
তাইওয়ান টাইমসে প্রকাশিত একটি মন্তব্যধর্মী লেখায় বলা হয়েছে, তিব্বতের ইতিহাসে এমন কোনো বিষয় নেই যা তিব্বতী জীবনকে এত ঘনিষ্ঠভাবে স্পর্শ করে এবং তিব্বতী জনগণের সাহস, স্থিতিশীলতা এবং আশা নিয়ে প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে।
গত বছরও সারা বিশ্বের তিব্বতীরা তাদের গণজাগরণ দিবসের ৬১তম বার্ষিকী স্মরণ করে। সারা বিশ্বে তারা প্রতিবাদ এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিব্বতী যুব কংগ্রেস (টিওয়াইসি), তিব্বতী মহিলা অ্যাসোসিয়েশন (টিডব্লিউএ), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব তিব্বত (এনডিপিটি), গু-চু-সুম এবং ছাত্রদের দ্বারা আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিলের আগে কেন্দ্রীয় তিব্বতী প্রশাসন (সিটিএ) টিসুলাগখাং-এ আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিব্বতের জনগণ বেইজিংয়ের দ্বারা আর নিয়ন্ত্রিত থাকতে চায় না এবং গত ছয় দশক ধরে তারা যে চরম নিপীড়ন সহ্য করতে বাধ্য হয়েছে, তা তারা সহ্য করতে চায় না।
তিব্বতী মালভূমির বেশিরভাগ অংশ জুড়েই তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এটি তিব্বতী জনগণের ঐতিহ্যবাহী মাতৃভূমি এবং অন্যান্য জাতিগত গোষ্ঠী যেমন- মনপা, তামাং, কিয়াং, শেরপা, লোবা, হানদের বাস।
১৯৫০ সালে চীন তিব্বতের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
১৯৫৯ সালের ১০ মার্চ তিব্বতী বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৯৫৯ সালের প্রথম দিকে তিব্বতী গণজাগরণের সময় তাদের আধ্যাত্মিক নেতা নোবেল শান্তি বিজয়ী দালাই লামা ও তার অনুচর সিআইএর বিশেষ কার্যক্রম বিভাগের সাহায্যে তিব্বত থেকে পালিয়ে ৩০ মার্চ ভারতে প্রবেশ করেন। তারপর থেকেই তিনি ভারতের হিমাচল প্রদেশের একটি ধর্মশালায় আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক