ভারতের পাওয়ার গ্রিডে চীন সাইবার হামলা চালিয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে চীন।
বেইজিং সোমবার দাবি করেছে, তারা এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অসৎ আচরণের 'দৃঢ়ভাবে বিরোধী'।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, সাইবার নিরাপত্তার একজন কট্টর সমর্থক হিসেবে চীন সব ধরনের সাইবার হামলার তীব্র বিরোধিতা করে এবং কঠোরভাবে দমন করে।
তিনি বলেন, সাইবার হামলার বিষয়ে অনুমান এবং জালিয়াতির কোনো ভূমিকা নেই, কারণ এ হামলার উৎপত্তিস্থল খুঁজে বের করা খুবই কঠিন। এ অবস্থায় কোন নির্দিষ্ট দলকে দোষারোপ করা অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। চীন দৃঢ়ভাবে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অসৎ অনুশীলনের বিরোধিতা করে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সাইবার সিকিউরিটি ফার্মের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চীনা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা গ্রুপগুলো ম্যালওয়্যার দিয়ে ভারতের বিদ্যুৎ খাতকে টার্গেট করেছে। ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় দুই জাতির সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের কয়েক মাস পরে এই ঘটনা ঘটে।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস রবিবার এই প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন এই গবেষণা এই ধারণাকে গুরুত্ব প্রদান করেছে যে মুম্বাই ব্ল্যাকআউট ভারতের পাওয়ার গ্রিডের বিরুদ্ধে চীনা সাইবার প্রচারণার অংশ হতে পারে।
ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি রেকর্ডড ফিউচার-এর গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একটি গ্রুপকে ভারতীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ট্রান্সমিশন অবকাঠামো জুড়ে প্রায় এক ডজন জটিল নোডে প্রবেশাধিকার পেতে পদ্ধতিগতভাবে উন্নত সাইবার অনুপ্রবেশ কৌশল ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের পাওয়ার গ্রিড পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পাঁচটি আঞ্চলিক লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের (আরএলডিসি) মধ্যে চারটিসহ দশটি বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করেছে চীন। অন্যান্য চিহ্নিত লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে দুটি ভারতীয় সমুদ্রবন্দর। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক