রমজান মাসে রান্নার তেল ও চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ পাকিস্তানের আমদানি ক্রমাগত বাড়ছে। অন্যদিকে বস্ত্র খাতের রপ্তানি ফেব্রুয়ারিতে কমে গেছে।
সামগ্রিকভাবে আমদানির ১১ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি কমেছে ২.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী রুপি, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং ভারত ও বাংলাদেশের মতো বস্ত্র খাতের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীসহ সারা বিশ্বে লকডাউনের কারণে দেশটির আমদানি বৃদ্ধি এবং রপ্তানি হ্রাসের বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিএমএ ক্যাপিটালের নির্বাহী পরিচালক সাদ হাশমি দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন, পাকিস্তানের আমদানি মাসে ৪.৫-৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (উন্নীত) হতে পারে এবং চলতি অর্থবছরের বাকি চার মাসে (মার্চ-জুন) মাসে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি ধীর গতিতে চলছে।
গত বছরের একই মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের খাদ্য আমদানি ৪০% বেড়ে ৭০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। রমজান মাসের আগে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবসায়ীরা মজুদ করে থাকে। চিনি এবং রান্নার তেলের চাহিদা রমজানে সবচেয়ে বেশি থাকে।
ঘাটতি মেটাতে এবং দেশে দাম কমাতে গত কয়েক মাস ধরে গমসহ খাদ্যদ্রব্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান। এদিকে গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ার আগে মাসে যন্ত্রপাতি আমদানি ২৭% বেড়ে ৯২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বেশ কয়েকটি বৈশ্বিক কোম্পানি পাকিস্তানে স্থানীয় উৎপাদন শুরু করা সত্ত্বেও মোবাইল ফোন আমদানি বেড়েছে।
তবে নির্মাণ ও খনি যন্ত্রপাতি আমদানি ৫৭% কমে গেছে, যদিও নির্মাণ প্যাকেজ প্রদান এবং দেশের নির্মাণ ও মিত্র শিল্পকে সমর্থন করার জন্য আবাসন ও নির্মাণ খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে সরকারের অক্লান্ত প্রচেষ্টা আছে।
পরিবহন গ্রুপের আমদানি মাসে ১২২% বেড়ে ২৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
শুধু বস্ত্র খাত পাকিস্তানে রপ্তানি আয়ের প্রায় 60 শতাংশ। কিন্তু এ খাতের রপ্তানি গত বছরের একই মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৩ শতাংশ কমে গেছে। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
নিউজ ডেস্ক