চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে জোরপূর্বক শ্রম আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অলাভজনক সংস্থা ‘চায়না লেবার ওয়াচ’ গত ২ এপ্রিল তাদের "সাইলেন্ট ভিকটিমস: এ বেল্ট অ্যান্ড রোড চাইনিজ ওয়ার্কার্স স্ল্যাঙ্কড ওভারসিজ ইন দ্য নিউ করোনেশন এপিডেমিক" শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে এ অভিযোগ তুলেছে।
চায়না লেবার ওয়ার্কস (সিএলডব্লিউ) করোনার কারণে বিদেশে আটকা পড়া প্রায় ১০০ চীনা শ্রমিকের সাথে যোগাযোগ করে। এদের মধ্যে ২২ জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। এই শ্রমিকরা ইন্দোনেশিয়া, আলজেরিয়া, সিঙ্গাপুর, জর্ডান, পাকিস্তান, সার্বিয়া এবং অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
এই শ্রমিকরা মূলত বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য উচ্চ বেতনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল। তাদের বিভিন্নভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিদেশের মাটিতে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
উহান থেকে করোনার সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর চীনা সরকার সব ধরনের বিদেশি ফ্লাইটের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। এ কারণে ওই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে পারেনি। তাছাড়া নিয়োগকর্তারাও তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে চায়নি। ওইসব শ্রমিকের কেউ কেউ আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। তাদের উপযুক্ত চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। তাছাড়া একই কক্ষে গাদাগাদি করে থাকার কারণে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আহত শ্রমিকরা সাধারণত স্থানীয় চীনা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। কারণ এসব শ্রমিকদের সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা রাখেনি চীন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২১
নিউজ ডেস্ক