ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের চলমান সংকট যত দিন গড়াচ্ছে তত যাচ্ছে যুদ্ধের দিকে। অষ্টম দিনেও চলছে দু’পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, এবারের সংঘাতে তারা ফিলিস্তিন থেকে সর্বোচ্চহারে রকেট হামলার মুখে পড়েছে। গত ১০ মে থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজা থেকে প্রায় ৩ হাজার রকেট ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়েছে। এই সংখ্যাটি ২০১৯ সালে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ২০০৬ সালে হেজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের চেয়েও বেশি।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল অরি গর্ডিন বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন হামাস গোষ্ঠী সোমবার (১৭ মে) পর্যন্ত ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় তিন হাজার রকেট ছুঁড়েছে। এ তথ্য জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, ২০১৯ সালের নভেম্বরে ফিলিস্তিনের সঙ্গে এক দফায় সংঘাতে জড়ায় ইসরায়েল। তখন তিন দিনে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে মোট ৫৭০টি রকেট ছোড়ে হামাস।
২০০৬ সালে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় ইসরায়েল। ওই যুদ্ধে ১৯ দিনে হিজবুল্লাহ প্রায় ৪ হাজার ৫শ রকেট হামলা চালায় ইসরায়েলে।
এরপর ইসরায়েল ‘আয়রন ডোম’ নামে বিশ্বের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলে। ইসরায়েল ২০১১ সালে প্রথম ‘আয়রন ডোম’ মোতায়েন করে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, আয়রন ডোমের মাধ্যমে তারা অধিকাংশ রকেট হামলা আকাশেই ঠেকিয়ে দিচ্ছে। তবে এবার গাজা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আয়রন ডোমের দুর্বলতা সামনে আসছে। গাজা থেকে ছোড়া অনেক রকেট আয়রন ডোম ফাঁকি দিয়ে ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
এ পর্যন্ত ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় গাজায় প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ২শ হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫৮ জন শিশু রয়েছে।
অপরদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পর্যন্ত তাদের ১০ জন নিহত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
এএ