ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হাঙ্গেরিতে চীনা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২১
হাঙ্গেরিতে চীনা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ

হাঙ্গেরির রাজনৈতিক বিরোধী দল ইইউতে প্রথম চীনা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছে, কারণ প্রকল্পের আর্থিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে যুক্তিতর্ক চলছে।  

বুদাপেস্টের মেয়র গের্জেলি কারাকসনি, যিনি আগামী বছর নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আশা করছেন, তিনি রাজধানীতে ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি ক্যাম্পাস নির্মাণের দক্ষিণপন্থী সরকারের পরিকল্পনা বন্ধ করার জন্য ‘সম্ভাব্য সকল আইনগত ও রাজনৈতিক উপায়’ ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সাংহাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি, যা বিশ্বের শীর্ষ ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে ক্যাম্পাসটি চালু করতে চায়।

এই পরিকল্পনার আওতায় ৮,০০০ শিক্ষার্থী দানিউবের তীরে একটি বিস্তৃত সুবিধায় বাস করবে এবং শিক্ষা গ্রহণ করবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিংয়ের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য মরিয়া সরকারের লোকজন এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।  

জনকূটনীতি বিষয়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোলতান কোভাক্স আল জাজিরাকে বলেন, ক্যাম্পাস শিক্ষার মান বৃদ্ধি করবে এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক জ্ঞান প্রদান করবে, যা হাঙ্গেরির অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।

বুদাপেস্টের কর্ভিনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং চীন বিশেষজ্ঞ তামাস মাতুরা এ বিষয়ে একমত।

তিনি বলেন, একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের আগমন একটি সুসংবাদ। চীন একটি উন্নত, উচ্চ প্রযুক্তির দেশ তাই প্রকল্পটি হাঙ্গেরিকে এই শর্তে উৎসাহিত করবে।

জানা গেছে, চীনের বড় অংকের ঋণ নিয়ে এই ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হবে। এটি আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে যে প্রকল্পটি চীনের উপর হাঙ্গেরির নির্ভরতা আরও গভীর করবে।

বুদাপেস্টভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক পলিসি সলিউশনে গাবোর গিওরি বলেন, ফুদান প্রকল্পটি চীনের সাথে হাঙ্গেরির জোটকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বৃহত্তর সরকারি কৌশলের অংশ।

বুদাপেস্ট আশা করছে, ফুদান শেষ হওয়ার পরে আরও ‘বড় প্রকল্প’ হাতে নেওয়া হবে।  

মাইকেল ইগনাটিফ একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সভাপতি। তিনি ফুদানের আগমনকে ‘একাডেমিক স্বাধীনতার জন্য আরেকটি আঘাত’ বলে অভিহিত করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।