গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সর্বদা আল্লাহতায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। কারণ আল্লাহতায়ালার সার্বক্ষণিক সাহায্য ও অনুগ্রহ ছাড়া কারও পক্ষে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।
এক. ‘রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতানা ওয়াহাব লানা মিল্লাদুনকা রাহমা- ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব। ’
এ দোয়া বেশি বেশি পাঠ করলে দ্বীনের পথে ও হেদায়েতের ওপর টিকে থাকা সহজ হয়। দোয়াটি পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত। যা সূরা আল ইমরানের ৮ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! হেদায়েত প্রদান করার পর আপনি আমাদের অন্তঃকরণকে বক্র করবেন না এবং আপনার নিকট থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন! নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর দাতা।
দুই. ‘ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুব- সাব্বিত কালবি আলা দিনিক। ’
এই দোয়াটি পবিত্র হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। উম্মত জননী হজরত উম্মে সালমা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বেশিরভাগ সময়ে এই দোয়াটি পাঠ করতেন। এটা রাসূলের শেখানো দোয়া বিশেষ।
অর্থ : হে অন্তরসমূহের ওলট-পালটকারী! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের ওপর অবিচল রাখুন। -তিরমিজি
তিন. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করতেন—
‘আল্লাহুম্মা মুসাররিফাল কুলুব সাররিফ কুলুবানা আলা ত-আতিক। ’
অর্থ : হে আল্লাহ! (আপনি) হৃদয়সমূহের পরিবর্তনকারী! আমাদের হৃদয়গুলোকে আপনার আনুগত্যের দিকে ঘুরিয়ে দিন। -সহিহ মুসলিম
চার. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দোয়াটিও করতেন—
‘আল্লাহুম্ম ইন্নী আসআলুকাল হুদা ওয়াততুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা। ’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে হেদায়েদত, তাকওয়া, সচ্চরিত্রতা ও প্রাচুর্য্যতার প্রার্থনা করছি। -সহিহ মুসলিম
আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে সব ধরনের গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৬
এমএ/