ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

শবেবরাতের আমল নফল রোজা

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৬
শবেবরাতের আমল নফল রোজা ছবি: সংগৃহীত

হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ পালন করে সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে। আজ রোববার দিবাগত রাতটিই পবিত্র শবেবরাত।

এই মর্যাদাপূর্ণ রাতে আল্লাহতায়ালা বান্দাদের জন্য তার অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এই রাতে সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকিরে মশগুল থাকবেন। আগামীকাল অনেকেই রোজা রাখবেন।

শাবানের এক তারিখ থেকে সাতাশ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখার বিশেষ ফজিলতের কথা হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। এ ছাড়া আইয়ামে বিজ তথা প্রতি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিস শরিফে উৎসাহিত করা হয়েছে।

হজরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘পনেরো শাবানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখো। ’ -ইবনে মাজা, হাদিস- ১৩৮৪

যেহেতু বিভিন্ন সহিহ হাদিসে শাবান মাসের রোজার সাধারণ ফজিলত এবং আইয়ামে বিজের রোজার ফজিলত উল্লেখিত হয়েছে- পাশাপাশি দূর্বল সনদে উপরোক্ত হাদিসটিও বিদ্যমান রয়েছে; তাই কেউ যদি এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে পনেরো শাবানের রোজা রাখেন- তাহলে তিনি সওয়াব পাবেন- ইনশাআল্লাহ।

হাদিসে আছে, এ রাতে সূর্য অস্ত যাওয়ার পরই আল্লাহতায়ালা প্রথম আসমানে অবতরণ করেন। মাগরিব থেকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রহমত নিয়ে বান্দাদের রহমত দান করার জন্য প্রথম আসমানে আসেন এবং প্রচুরসংখ্যক মানুষের গোনাহকে ক্ষমা করেন। হাদিসের ভাষ্যমতে এটা স্পষ্ট যে, এই রাত হচ্ছে আল্লাহর কাছে পাওয়ার রাত, চাওয়ার রাত। এই রাত হচ্ছে আল্লাহর দরবারে কাঁদার রাত। এ রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন গোনাহ মাফ করার জন্য প্রস্তুত থাকেন।

তাই যত বেশি সম্ভব ইবাদত-বন্দেগি বেশি বেশি করা। আলেমরা বলেন, শবেবরাতের মূল আমলই হলো- দিনে রোজা রাতে তাহাজ্জুদ।

যারা অসুস্থ কিংবা দুর্বল, পুরো রাত ইবাদত করার শক্তি রাখেন না, তারা শবেবরাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে ভোররাতে উঠে যাবেন। যাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যায়। কারণ তাহাজ্জুদের সময় দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময়। ‍

সেহরি খেয়ে ফজরের নামাজ মসজিদে এসে জামাতে আদায় করার চেষ্টা করতে হবে, কারণ হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি এশার নামাজ এবং ফজরের নামাজ মসজিদে এসে জামাতের সঙ্গে আদায় করবে, আল্লাহতায়ালা পুরো রাত ইবাদত করার সওয়াব তাকে দান করবেন। কাজেই এশা এবং ফজরের নামাজকে প্রথম তাকবিরের সঙ্গে আদায় করার চেষ্টা করতে হবে।

আজ ঢাকায় সেহরির শেষ সময় রাত ৩টা ৪৬ মিনিটে। ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে রাত ৩টা ৫১ মিনিটে। সূর্যোদয় ৫টা ১৩ মিনিটে।

আগামীকাল ইফতারের সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘন্টা, মে ২২, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।