ফিরুজ সুন্তুর তুরস্কের ভিন শহরের বাসিন্দা। বলতে গেলে প্রায় জীবনের শেষ লগ্নে এসে তিনি কোরআন হেফজ করার চেষ্টা করছেন।
তার ইচ্ছা, তিনি পুরো কোরআন মুখস্থ করবেন। এ জন্যে একজন গৃহশিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন এবং দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময় বরাদ্দ রেখেছেন।
জীবনের শুরুতে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের দরুণ ফিরুজ সুন্তুর ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কোরআন শিখতে ও মুখস্থ করতে পারেননি।
তবে এখন তার দৃঢ় আবেগ ও প্রেরণার ফলে নিয়মিত কোরআনের ক্লাসে অংশগ্রহণ করে ধীরে ধীরে কোরআন হেফজ করছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি শৈশব ও এর পরের সময় গ্রামে কাটিয়েছি। সেখানে মেয়েদের কোরআন শেখার ভালো কোনো ব্যবস্থা ছিল না। আর যেটুকু ব্যবস্থা ছিল তাতেও আমি পারিবারিক কারণে অংশ নিতে পারিনি। বিয়ের পর ভিন শহরে চলে আসি এবং এখানেই থাকছি।
তিনি বলতে থাকেন, সংসার সামলে, স্বামী-সন্তানদের সময় দিয়ে কোরআন শিক্ষার জন্য আর সময় বের করতে পারিনি। তবে আল্লাহর কালাম কোরআন শিক্ষার প্রতি আমার আগ্রহে কোনো ভাটা পড়েনি।
এখন সন্তানরা বড় হয়েছে, মেয়েদের বিয়ের কাজও শেষ। সংসারের চাপও কিছুটা কম। তাই আমি কোরআন শেখার লালিত স্বপ্নটা বাস্তবায়নে কাজে লেগে যাই।
যদিও বয়স হওয়ার কারণে অনেকেই নিষেধ করেছে। আমি তাদের কথায় কান দেইনি। কারণ, আমার লক্ষ্য হচ্ছে- কোরআন হেফজ করা। সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝতে পেরেছি, মানুষ তার দৃঢ় প্রচেষ্টা এবং অনুশীলনের ফলে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।
সর্বশেষ তিনি বলেন, আমি আশা করছি অতি শিগরিরই সম্পূর্ণ কোরআন হেফজ করতে সক্ষম হবো।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
এমএইউ/