গওহরডাঙ্গা মাদরাসা প্রাঙ্গণে বিপুল মানুষের উপস্থিতিতে নামাজে জানাজার ইমামতি করেন আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।
মাওলানা কামরুজ্জামান কবীর (৫৫) মঙ্গলবার রাত ৯টায় টুঙ্গীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে, ১ ছেলে, আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মাওলানা কামরুজ্জামান কবীর ১৯৭৬ সালে এসএসসি পাশ করে গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় ভর্তি হন। ১৯৮৮ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে গওহরডাঙ্গা মাদরাসা থেকে দাওরায় হাদিস সমাপ্ত করে মাওলানা সনদ লাভ করেন।
তিনি কর্মজীবন শুরু করেন গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গার নির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
হজরত সদর সাহেব (রহ.)-এর জীবনী পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি দ্বীনি শিক্ষা অর্জনের নিমিত্তে স্কুল ছেড়ে মাদরাসায় ভর্তি হন।
ছাত্রজীবন থেকে মাওলানা কামরুজ্জামান কবীর খাদেমুল ইসলামের কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
২০০৫ সাল থেকে সাল থেকে তিনি খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
তার মৃত্যুতে খাদেমুল ইসলাম বাংলদেশের আমির ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম পীরে কামেল আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন গভীর শোক প্রকাশ করে তার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, মাওলানা কামরুজ্জামান ইসলামের প্রচার-প্রসারে একজন নিবেদিত মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমি একজন বিশ্বস্ত কর্মী ও সহযোদ্ধা হারালাম। তার শূণ্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এমএইউ/