মুসলিম ফ্যাশন নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই বিশ্বব্যাপী আলোচনা চলছে। এশিয়া ও আফ্রিকার মুসলিম নারীদের রক্ষণশীল পোশাক ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী।
এমনকি পশ্চিমের চোখ ধাঁধানো বিভিন্ন ফ্যাশন উইকেও মুসলিম নারীদের পোশাকের সেসব নকশাও বেশ কদর পেয়েছে।
বলা হচ্ছে, মুসলিম নারীদের ফ্যাশনেবল কাপড়চোপড় আর অনুষঙ্গের বিশাল চাহিদা তৈরি হয়েছে বিশ্বব্যাপী, যা এতদিন হয়ত নজরেই আনেননি ডিজাইনার বা ব্যবসায়ীরা।
একটা সময় পর্যন্ত ইসলামি অনুশাসন মেনে, একটু রক্ষণশীলভাবে কাপড়চোপড় পড়ার সঙ্গে ফ্যাশনের রীতিমত বৈরিতা ছিলো বলে ধারণা করা হত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, মুসলিম নারীদের ফ্যাশনেবল পোশাক আর আনুষঙ্গিকের পেছনে এখন বছরে খরচ হয় হাজার কোটি টাকা।
এক কথায়, বিশ্বব্যাপী মুসলমান ভোক্তা ও ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বছর বছর বাড়ছে।
এ খাতে এখন মানুষ বছরে দুইশো কোটি মার্কিন ডলার থেকে পাঁচশো কোটি ডলার পর্যন্ত খরচ করছে। টাকার অংকে যা কয়েক হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াচ্ছে।
বিশ্বের নামী সব ব্রান্ডগুলো এখন মুসলিম ক্রেতা আকৃষ্ট করতে নেমে পড়েছেন নতুন নতুন ধরণের আইডিয়া নিয়ে। গেল বছরের শেষ দিকে নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকে প্রথমবারের মতো হিজাব পরে ক্যাটওয়াকে অংশ নিয়েছেন মডেলরা।
এতে করে সাধারণ মুসলিম নারীরা মনে করছেন প্রথমবারের মতো ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে মুসলিম মেয়েদের বিবেচনায় আনা হয়েছে। একে সমাজের অংশ হয়ে ওঠার একটি প্রতীক হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
এমএইউ/