মাটির নিচে চাপাপড়া প্রাচীন রেকোপোলিস শহর নির্মিত হয় ছয় শতকের দিকে। ভিসগথিক শাসকরা শহরটি নির্মাণ করেন।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা রেকোপোলিসের এই স্থানটির মাত্র আট শতাংশ উদঘাটন করতে পেরেছেন। জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ চালিয়ে আসছেন। তবে প্রত্নতাত্ত্বিকরা কোনো প্রকার খননকাজ ছাড়াই জিওম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে যান। হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইকেল ম্যাকক্রোমিক বলেন, যত জায়গায় আমরা জরিপ করেছি, প্রায় সব জায়গার ভবন, সড়ক ও গলি অনুসন্ধান করেছি।
ম্যাকক্রোমিক জানান, ২০১৪ সালে তিনি যখন এই স্থান ভ্রমণ করতে আসেন, তখন এখানে একটি প্রাসাদ, একটি চ্যাপেল ও কিছু দোকানপাটের অবশিষ্টাংশ দেখতে পান। তখন তিনি তার বন্ধু ও স্পেনের আলচালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ল্যারো ওলমো অ্যানকিসোকে রসিকতা করে বলেন, বাকি শহরটি গেলো কোথায়?
পরের বছর তিনি সম্পূর্ণ স্থানটি জরিপের কাজ শুরু করেন। কয়েকজন সহকর্মীসহ জিওম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে তিনি স্থানটির সম্পূর্ণ জরিপ করেন। জরিপ চলাকালীন প্রত্নতাত্ত্বিকরা লক্ষ্য করেন, অন্যান্য স্থাপনার চেয়ে একটি স্থাপনা ভিন্ন। স্থাপনাটি মক্কা অভিমুখী। এছাড়াও স্থাপনাটির নকশা প্রায় মধ্যপ্রাচ্যের মসজিদের মতো।
তবে মাটি না খুঁড়ে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছেনা এটি কি মসজিদ না অন্য কিছু। যদি এটি মসজিদই হয়, তবে এটিই হয়তো ইউরোপের সর্বপ্রাচীন মসজিদ।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রত্নতাত্ত্বিকরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক হাজার বছরেরও পুরনো মসজিদ আবিষ্কার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই মসজিদটি আমিরাতের আল-আইন শহরের শেখ খলিফার মসজিদের কাছাকাছি অবস্থানে।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
এমএমইউ