ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

পৃথিবীর পাঁচ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

নাজমুল হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৩
পৃথিবীর পাঁচ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

ভারতের কেরেলা
মাত্র ত্রিশ বছর আগেও ভারতের সুন্দরতম প্রদেশ কেরেলা দেশের মানুষের কাছে ছিল অনেকটাই অজানা। অথচ বর্তমানে ভারতের দক্ষিণ প্রদেশের এ রাজ্যটি ‍ দর্শনার্থীদের কাছে একটি সুপরিচিত স্থান।

কেরালার জলঘেরা নারিকেল বাগান চোখ জুড়ানো। রয়েছে সবুজঘেরা পাহাড়। আর বজরা নৌকায় সবুজ জলে ভেসে বেড়ানো তো অসাধারণ অনুভূতির।

পৃথিবীর প্রায় সব দেশ থেকে প্রতি বছর অসংখ্য ভ্রমণপিপাসু আসছে কেরালায়। স্থানটির সৌন্দর্য, ‍ ঐতিহ্য, আবহাওয়া  এবং এর প্রকৃতির অপরূপ রূপ সত্যি উপভোগ করার মতো।

তানজানিয়ার নাগোরোগোরো আগ্নেয়গিরি
আফ্রিকার তানজানিয়ায় নাগোরোগোরো আগ্নেয়গিরি এখন একটি হ্রদমুখী উদ্যান। এক বলা হয় আফ্রিকার স্বর্গ। উদ্যানটির সৃষ্টি দুই থেকে তিন লক্ষাধিক বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে।

প্রায় তিনশ স্কয়ার কিলোমিটার এ উদ্যানটি বর্তমানে আফ্রিকার বন্য প্রাণী দেখার এক অপার সুযোগ করে দিয়েছে মানুষকে।

সিংহ, চিতাবাঘ,  হাতি, মহিষ ও গয়াল - এই পাঁচ প্রাণী ছাড়াও আনুমানিক পঁচিশ হাজার বন্য প্রাণী রয়েছে এখানে। এছাড়া রয়েছে পূর্ব আফ্রিকার কিছু প্রজাতির প্রাণী।

লেবাননের চুনাপাথারের গুহা
লেবাননের প্রায় আঠারো ‍কিলোমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে আছে রুয়েটের গুহাগুলো। চুনাপাথর বিশিষ্ট এ গুহাগুলোতে  প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই রয়েছে জনবসতি।

উজ্জ্বলদীপ্ত রং ও গুহার ছাদ থেকে গড়িয়ে পড়া বিন্দু বিন্দু জলের গড়ন খুবই আকর্ষণীয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিন্দু জলে সুপ্ত গড়ন দেখতে পাওয়া যায় এখানে।

গুহার কক্ষগুলো গঠিত বড়-ছোট শিল্পকর্ম দিয়ে, যা ছিড়িয়ে রয়েছে নয় কিলোমিটার পর্যন্ত। প্রবেশপথ তলদেশের নদী ধারা অভিমুখী। এখান থেকে খুব অল্প কিলোমিটার দূরত্বে কাছের শহর জুনিয়া। সেখান থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগে গুহাগুলো ভ্রমণ করতে।

আয়ারল্যান্ডের ক্লিফস অব মাদার
যুক্তরাজ্যের দক্ষিণে আটলান্টিক মহাসাগরে আট কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে ২১৩ মিটার খাড়া খাড়া উঁচু পাহাড়। এক বলা হয় আয়ারল্যান্ডের ক্লিফস অব মাদার।

এগুলো আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক আকর্ষণ দর্শনার্থীদের জন্য। তাছাড়া এগুলো আটলান্টিকের সামুদ্রিক বাতাস ও অন্য বন্য প্রণীদের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। অপূর্ব সৌন্দর্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই দ্বীপে।

চীনের শিলিন স্টোন ফরেস্ট
স্থানীয় এক রূপকথায় বলা হয়, এ জঙ্গলটি সৃষ্টি হয়েছিল যখন এক নারী নিষিদ্ধ হয় তার ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করে। তাই কোনো এক সময় সে পাথারে রূপান্তরিত।

এই জঙ্গলের শিলাখণ্ডের গঠন খাড়া লম্বা। ইয়ানআন প্রদেশের ৩৫০ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে আছে এগুলো। সুচের মতো খাঁড়া এই শিলাখণ্ডগুলো প্রাচীন শিলা জঙ্গলের মতো দেখতে।

ধারণা করা হয়, এই এগুলো প্রায় ২৭০ লক্ষাধিক বছরের পুরনো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ ‍আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি মেইল[email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।