ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

পানির সেতু!

তানজিল হুদা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৩
পানির সেতু!

ব্রিজ বা সেতু বলতে আমরা কি বুঝি? যার উপর দিয়ে গাড়ি, ট্রাক, ট্রেন বা অন্য কোনো স্থলযান চলাচল করে একটি নদী পার হয়। তাই তো? আবার ব্রিজ বা সেতু বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।

যেমন, কাঠের, বাঁশের, ইট পাথর সিমেন্টের। কিন্তু পানির সেতু! সেটা কি সম্ভব?

আমাদের এই প্রচলিত ধারণার বাইরেও যে সেতু করা যায়, তা দেখিয়েছেন জার্মান প্রকৌশলীরা।

বার্লিন শহরের একেবারে কাছের শহর ম্যাগডেবার্গে অবস্থিত এ পানির সেতু। সেতুটি অবস্থিত এলবা নদীতে। এই নদী পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানিকে এক করেছে এবং কমিয়েছে ১২ কিলোমিটার রাস্তা।

সেতুটি ৯১৮ মিটার দীর্ঘ। আর ২২৮ মিটার রয়েছে নদীর ওপরে। বাকি ৬৯০ মিটার ভূমিতে। সেতুটি প্রশস্ত ৩৪ মিটার। পানির গভীরতা গড়ে ৪ দশমিক ২৫ মিটার। আর এটি তৈরি করতে প্রয়োজন হয় ২৪ হাজার মেট্রিক টন স্টিল ও ৬৮ হাজার ঘনমিটার কংক্রিট।

১৯১৯ সালে সেতুর নির্মাণ প্রস্তাব দেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ১৯৩৮ সালে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর দুই জার্মানি একত্র হওয়ার পর ১৯৯৭ সালে পুনরায় এর কাজ শুরু হয়। টানা ছয় বছর ধরে নির্মাণ করার পর ২০০৩ সালে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই পানির সেতু।

প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ইউরো বা পাঁচহাজার দুইশ’ ৫০ কোটি টাকার সেতুটি বার্লিনের দু’টি বিখ্যাত ক্যানেলকে সংযুক্ত করেছে। এলবা-হাভেল ও মিটারল্যান্ড নামের এই দুই ক্যানেল সংযুক্ত করায় সুবিধা হয়েছে অনে ।
 এখন বাণিজ্যিক জাহাজগুলো বার্লিন বন্দরে সহজে পৌঁছ‍ুতে পারে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন ব্রিজটি দেখতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি[email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।