আমি ছোট্ট এক বন্ধুকে চিনি। তার নাম তুতুল।
ওদিকে আবার হাতটা কিন্তু তুতুলের বাবা-মাকে একদম সহ্য করতে পারে না। ক্ষণে ক্ষণে রূপ পাল্টে ওর বাবা-মাকে ভয় দেখায়। মানে, ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব আর বাবা-মায়ের সঙ্গে আড়ি। এমন অবস্থা দেখে তারা ভাবনায় পড়ে যান। এই হাত যদি ছেলের কোনো ক্ষতি করে? এজন্য তারা নানান ফন্দিফিকির করে হাতটাকে সরিয়ে ফেলেন ঠিকই, কিন্তু হাতটা কিভাবে কিভাবে যেন আবার এসে জুটে যায় ছেলের সঙ্গেই। তাহলে এখন উপায়?
বাসায় যখন এমন অবস্থা তখন ঘটল মজার আরেকটি ঘটনা। ‘দিনকয়েক হলো তুতুলের আব্বু একা একা বাসায় আছেন। তুতুলকে নিয়ে ওর আম্মু গেছেন ওর নানুর বাড়ি বেড়াতে। অফিস যাওয়ার সময় তুতুলের আব্বু খেয়াল করলেন ছেলের খেলনাপাতির ডালিটা বারান্দায় পড়ে আছে, কিন্তু হাতটা নেই! সিঁড়ি ভেঙে নামতে নামতে তিনি ভাবলেন, আপদটা যেভাবে এসেছে, সেভাবেই বিদায় হয়েছে হয়তো। সুতরাং ভাবনার কিছু নেই। অফিস থেকে বাসায় ঢোকার মুখে তুতুলের আব্বু দেখলেন সিঁড়ির কাছে জটলা। এ বাড়ির সব মহিলা আর শিশুরা নিচে। তুতুর আর ওর আম্মু থাকলে তারাও হয়তো যোগ দিত। কী হয়েছে কে জানে? এমন সময় বাড়িওয়ালা খালা আম্মার ধরা গলা তুতুলের আব্বুর কানে এলো- ‘আমার কথা শুনলে কি আজ বাচ্চাটার এই দশা হতো?’
বন্ধুরা, তোমাদের এখন নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে রহস্যময় সেই হাতটা কেমন করে এলো তুতুলদের বাসায়। আর বাসার সবাই জটলা করে কী দেখছিল। খালা আম্মা তার কোন কথাটি সবাইকে শুনতে বলেছিলেন। এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে তোমাদের একটি বই পড়তে হবে। বইটির নাম ‘তুতুলের আম্মু ও ভূতের হাত’।
তোমাদের জন্য এই উপন্যাসটি লিখেছেন তরুণ লেখক বন্ধু গোলাম মোকতাদির। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন আঁকিয়ে বন্ধু নিয়াজ চৌধুরী তুলি। বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার তেপখানা রোডের সিঁড়ি প্রকাশন। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩-এ প্রকাশিত ৫৬ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য ১০০ (একশত) টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি[email protected]